ঢাকা: দাবি করা হয়, বর্ণবাদ, ধর্মীয় উগ্রতা ও গোঁড়ামি কাটিয়ে দিনে দিনে প্রগতিশীল হয়ে উঠছে বিশ্ব। আসলে কি তাই? সময় কিন্তু তা বলছে না।
সম্প্রতি প্রার্থী ‘কালো’ হওয়ায় তাকে সাক্ষাৎকার পর্যন্ত আসতে দিলেন না দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের দু’টি স্কুলের চাকরির নিয়োগকর্তারা।
আর এই খবর লজ্জায়-অপমানে-ক্ষোভে স্বজন-বন্ধুদের জানাতে হয়েছে শেন জোনস নামে হতভাগ্য ওই ‘কৃষ্ণাঙ্গ’কেই। জোনস সিউলে বসবাসরত আমেরিকান নাগরিক।
জানা যায়, সম্প্রতি সিউলের একটি স্কুল থেকে শিক্ষক নিয়োগের নোটিশ জারি করা হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) পাঠিয়ে দেন জোনস। প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাকে ফোন করে সাক্ষাৎকারের তারিখ জানানো হয়।
যেদিন সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে, সেদিন সেজেগুজে গন্তব্যে রওয়ানা দেন জোনস। কিন্তু পথিমধ্যেই তার ফোনে ক্ষুদে বার্তা আসে- ‘দুঃখিত জোনস, আসলে আমাদের শ্বেতাঙ্গ শিক্ষক চাই। ’
বিস্ময় আর ক্ষোভের পর্ব এখানেই শেষ নয়। আরেকটি প্রতিষ্ঠানে সিভি পাঠানো হলে এক সপ্তাহ পর ঠিক একই ধরনের প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তাও ফেসবুকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জোনসকে জানিয়ে দেন, তারা শ্বেতাঙ্গ শিক্ষক চান।
এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমগুলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে একজন কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আসলে আমাদের ছেলেরা অনেক ছোট হওয়ায় তারা একদমই ‘অদ্ভুত’ বিদেশিদের ভয় করে। এজন্য আমরা ‘অদ্ভুত বিদেশি’দের এড়িয়ে চলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৪