ঢাকা: ইরাক ও সিরিয়া অঞ্চলে লড়াইরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভ্যান্তের (আইএসআইএল) ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইবরাহিম রহিমপোর।
লন্ডনে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে রহিমপোর এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে রোববার (০৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে রহিমপোর দাবি করেছেন, ইরাকি সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই হামলা চালিয়েছে ইরানি বিমান বাহিনী। এছাড়া, হামলা চালাতে পশ্চিমা কোনো বাহিনীকে সহযোগিতা করা হয়নি কিংবা পশ্চিমা কোনো বাহিনী থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়নি।
ইরাকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকা এবং সিরিয়ার কিছু অংশ দখলে নিয়ে খেলাফত (সার্বভৌম রাষ্ট্র) ঘোষণা করা আইএসের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।
রহিমপোর বলেন, আমাদের বন্ধু ইরাকের স্বার্থে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা কোনো আমেরিকানের স্বার্থে এ হামলা চালাইনি। ইরাকি জনগণের জন্যই আমাদের এ সহযোগিতা। প্রত্যেকটি সামরিক অভিযানই ইরাকের জনগণের স্বার্থের সেদেশের সরকারের অনুরোধে পরিচালিত হচ্ছে।
অবশ্য, আইএসের গোপন স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে ইরানি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ স্বীকারোক্তি রোববারই নাকচ করে দিয়েছে ইরাকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, নভেম্বরের শেষ দিকে ইরাকের দিয়ালা প্রদেশে ইরানি যুদ্ধবিমানের যে হামলার ছড়িয়েছিল, সে বিষয়ে প্রথম ইরানি কোনো কর্তাব্যক্তি হিসেবে প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তিমূলক মন্তব্য করলেন রহিমপোর।
সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইরাকের দিয়ালায় আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ‘এফ-৪ ফ্যান্তম’ যুদ্ধবিমান। ওই অঞ্চলে কেবল ইরান এবং তুরস্ক-ই এফ-৪ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে থাকে। যেহেতু তুরস্ক আইএসবিরোধী লড়াইয়ে বরাবরই অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসছে সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই এর অভিযোগ বর্তায় ইরানের ওপর।
এমনকি ভিডিওটি প্রকাশ হলে ইরানি কর্মকর্তারাও এ ধরনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। যদিও তাদের হামলার খবরকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে ইরানের সহযোগিতা সাধুবাদযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪