ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ার দু’টি তেলক্ষেত্র দখলে নিয়েছে ‘লিবিয়া ডন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫
লিবিয়ার দু’টি তেলক্ষেত্র দখলে নিয়েছে ‘লিবিয়া ডন’

ঢাকা: যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত দু’টি তেলক্ষত্র দখল করে নিয়েছে ত্রিপোলিতে সরকার গঠনকারী ইসলামপন্থি বিভিন্ন গ্রুপের জোট লিবিয়া ডন এর যোদ্ধারা।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দেশটির তবরুক নগরীভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় থাকা ওই ক্ষেত্র দু’টি দখল করে নেয় লিবিয়া ডনের যোদ্ধারা।

তবে এ সময় সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে তবরুক সরকারের প্রতি অনুগত তেলশিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আলি আল-হাসি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আল-বাহি এবং আল-মাবরুক তেলক্ষেত্র দখল করে নিয়েছে চরমপন্থিরা। এখন তারা আল-দাহরা তেলক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এছাড়া আল-সিদর তেলক্ষেত্রের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ টার্মিনালেও লিবিয়া ডনের মিলিশিয়ারা বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন আল-হাসি। তবে এ হামলায় তারা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বন্দুকধারীদের হামলায় আল-মাবরুক তেলক্ষেত্রে অন্তত ১১ জন নিহত হয়।

গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই অস্থিতিশীল লিবিয়া। দেশটির বিভিন্ন নিজেদের মত করে নিয়ন্ত্রণ করছে গাদ্দাফি বিরোধী যুদ্ধে অংশ নেয়া মিলিশিয়া গ্রুপগুলো। বর্তমানে লিবিয়ায় কোনো কেন্দ্রীয় সরকার নেই।

রাজধানী ত্রিপোলি থেকে সরকার পরিচালনা করছে বিভিন্ন ইসলামপন্থি মিলিশিয়া গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক জোট লিবিয়া ডন সরকার। তবে এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি পশ্চিমা দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

অপরদিকে ত্রিপোলি থেকে উৎখাত হয়ে দেশের একেবারে পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর নগরী তবরুকে সরকার গঠন করেছে পশ্চিমাপন্থি সরকার। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আগুইলা সালেহ ইসা। এই সরকারের পক্ষে ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন গাদ্দাফি আমলের সাবেক সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতারের অনুগত সেনারা।

বর্তমান লিবিয়ায় এই দুইপক্ষের ক্ষমতা দখলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে তেলক্ষেত্র এবং বিমানবন্দরগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।