ঢাকা: ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনে শুরু হওয়া সৌদি সামরিক অভিযান ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্যিয়েহ আফখাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সৌদি আরবের এই পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলবে।
সৌদি এই অভিযানকে ‘আগ্রাসন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের দৌরাত্ম্য বাড়ানো ছাড়া এর কোনো ফলাফলই নেই। এর ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।
এর আগে সৌদি সামরিক অভিযান শুরুর কথা নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবেইর বলেন, ইয়েমেনের জনগণ ও সরকারকে রক্ষায় সৌদি আরব যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত আছে। এই অভিযানে দেড় লাখ সেনাসহ অন্তত একশ’ যুদ্ধ বিমান অংশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘ ও গালফ কাউন্সিলভুক্ত উপসাগরীয় ছয় দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হুথিদের দমনে ইয়েমেনের ‘হস্তক্ষেপ‘ কামনার প্রেক্ষিতে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে সৌদি আরব। এই অভিযানে অংশ নিতে জর্দান সরকারও তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে এরই মধ্যে। সৌদি আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানেও চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছে ‘ডন’।
তবে মিশর, পাকিস্তান, জর্দান, মরক্কো ও সুদান অভিযানে অংশ নিতে আগ্রহী বলে দাবি করেছে সৌদি সরকার।
এদিকে অভিযানের ব্যাপারে সৌদি আরবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হুথি বিদ্রোহীদের ঊর্ধ্বতন নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, ইয়েমেনে আগ্রাসন চালালে এই অঞ্চলে বিশাল এক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটবে।
এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় প্রধান বিমানবন্দর ও ডুলাইমি সেনা ঘাঁটির কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিমানবন্দরের কাছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫