ঢাকা: ইয়েমেনে লড়াইরত শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি।
শনিবার (২৮ মার্চ) মিশরে শার্ম এল-শেইখ শহরে অনুষ্ঠিত আরব লীগ বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
২১ জাতির এ সম্মেলনে হুথিদের দমনে সৌদি নেতৃত্বে সামরিক অভিযান ‘ডিসিসিভ স্টর্ম’ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ইয়েমেনী জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা যতোদিন প্রতিষ্ঠিত না হয়, ততদিন ডিসিসিভ স্টর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।
হুথিরা আত্মসমর্পন ও দেশ ছেড়ে চলে গেলেই কেবল এ অভিযান বন্ধ করার পক্ষে আমি।
এদিকে সৌদি বাদশাহ সালমানও ইয়েমেনী জনগণ ও সরকারের রক্ষায় ‘যা করা প্রয়োজন’ তার সবই করবেন বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর যৌথ অভিযান ‘ডিসিসিভ স্টর্ম’ শুরুর পরপরই শুক্রবার (২৭ মার্চ) ইয়েমেনের বন্দরনগরী এডেন থেকে রিয়াদে পাড়ি জমান ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট হাদি। সেখান থেকে পৌঁছান মিশরে।
হুথিদের অগ্রাভিযানের মুখে জাতিসংঘ ও গালফ কাউন্সিলভুক্ত উপসাগরীয় ছয় দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হুথিদের দমনে দেশটিতে ‘সামরিক হস্তক্ষেপ‘ কামনা করেন প্রেসিডেন্ট হাদী। এই আবেদনের পরই সেখানে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে অন্তত দেড় লাখ সৌদি সেনা অংশ নিয়েছে। বিমান হামলার জন্য নিয়োজিত রয়েছে অন্তত একশ’ যুদ্ধ বিমান। অভিযানে সেনা ও যুদ্ধবিমান দিয়ে সহযোগিতা করছে সহযোগী দেশগুলোও।
এদিকে হুথি ও হাদিবিরোধী বিদ্রোহীদের পেছন থেকে ইরান সরকার মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৭ মার্চ) সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চলমান অভিযানে সৌদি আরবের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইয়েমেনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে বলে দুই নেতা এক মত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫