ঢাকা: পুথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পানির উচ্চতা বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। বছরে এই বৃদ্ধির হার তিন থেকে আট মিলিমিটার।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ‘সুন্দরবনের সুস্থিত উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা- কৌশলগত প্রতিবেদন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরে এখন সুন্দরবনের পানির উচ্চতা তিন থেকে আট মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এখানকার জৈববৈচিত্র্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছে।
পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন, ২০০৪ সালের সুনামি ও পরবর্তী প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়াকে দায়ী করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবর্তনের সিংহভাগই ধীর গতিতে হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আরো জানায়, আসছে দশকে সুন্দরবনের ঘোড়ামারা দ্বীপ সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে এখানকার জীববৈচিত্র্যও বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া কাছাকাছি আরো দু’টো দ্বীপ এরই মধ্যে জোয়ারের সময় প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র কনসালটেন্ট সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, সুন্দরবনের পরিস্থিতি বিপজ্জনক। এখনই সঠিক ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ না নিলে এই অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গা যেমন প্লাবিত হবে, তার সঙ্গে জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়বে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আর ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে থাকা সুন্দরবনের ৭৫ শতাংশ এলাকা বিলীন হয়ে যাবে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫