ঢাকা: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা এল কে আদভানিসহ ১৯ নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে নোটিশ জারি করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে হাজি মেহবুবের (৭৭) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
হাজি মেহবুবের আবেদনে বলা হয়, আদভানির দল বিজেপি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারণে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাদের মূল প্রতিবেদনে বিজেপি নেতা এল কে আদভানিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পর্যাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করেনি।
আবেদনে মেহবুব আরো বলেন, মামলায় অভিযুক্ত রাজনাথ সিং বর্তমানে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অপর এক অভিযুক্ত কল্যাণ সিং বর্তমানে রাজস্থানের গভর্নর। যদিও সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করে, কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি।
আবেদনে মেহবুব অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে বাবরি মসজিদ প্রশ্নে কেন্দ্রের অবস্থান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। সিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যতোটা তথ্য-প্রমাণ থাকার কথা ছিল, তা সংযুক্ত হয়নি।
বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনায় দু’টি মামলা চলমান রয়েছে বর্তমানে। একটি মামলায় আদভানিসহ ২০ জন ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত। ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভাঙ্গার সময় অযোধ্যায় রাম কথা কুঞ্জে অভিযুক্তরা অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। অপর মামলাটি মসজিদ ভাঙ্গায় অংশ নেওয়া, ঘটনার সময় এর আশেপাশে অবস্থানকারী ও দাঙ্গায় জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
এর আগে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সিবিআই কোর্ট ও হাইকোর্ট ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে এল কে আদভানি, কল্যাণ সিং, উমা ভারতী, বিনয় কাথিয়ার, মুরালি মনোহর জোশীসহ অন্যদের খালাস দেয়।
মঙ্গলবার মেহবুবের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদন আমলে নিয়ে ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তদের নোটিশ জারি করার পাশাপাশি সিবিআইয়ের ওই প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে বলে জানায়। সেই সঙ্গে এলাহাবাদ হাইকোর্টে অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার পর এ ব্যাপারে আপিল করতে কেন সময় ক্ষেপণ করা হল, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয় গোয়েন্দা সংস্থাটির কাছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সংস্থাটিকে চার সপ্তাহের সময় বেধে দেয় আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫