ঢাকা: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক সামরিক শাসক মুহাম্মাদু বুহারির (৭২) অল প্রগ্রেসিভ কংগ্রেসকে (এপিসি) বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ভোট গণনা শেষে এপিসিকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
গত শনিবার (২৮ মার্চ) নাইজেরিয়ায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছু অঞ্চলে ভোটগ্রহণ দেরি হওয়ায় রোববার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত ভোটগ্রহণের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সোমবার (৩০ মার্চ) থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হয়। দেশজুড়ে এক লাখ উনিশ’ হাজার ৯শ’৭৩টি কেন্দ্রে, পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
ফলাফল ঘোষণার পরপরই জনাথন সদ্য নির্বাচিত বুহারিকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি আমার কথা রেখেছি।
১৯৬০ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেশটি দফায় দফায় সামরিক শাসনে পিষ্ট হয়।
বুহারির এক মুখপাত্র জনাথনের টেলিফোন করা প্রসঙ্গে বলেন, তার এই উদার পদক্ষেপ চলমান সংকট অনেকাংশেই হ্রাস করবে। বুধবার (০১ এপ্রিল) নবনির্বাচিত নাইজেরীয় প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন সামরিক শাসনে থাকার পর ১৯৯৯ সালে বেসামরিক শাসন ব্যবস্থায় ফেরার পর ২৮ মার্চের নির্বাচন দেশটির পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন। এতে ১৪ জন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হয় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট গুডলাক জনাথন ও সাবেক সেনাশাসক মুহাম্মাদু বুহারির মধ্যেই। জেনারেল বুহারিই নাইজেরিয়ার প্রথম কোনো বিরোধীদলীয় নেতা, যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করলেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি।
২৮ মার্চের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেসময় জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের নেতা আবু বকর শেকাও জাতীয় নির্বাচনকে ‘অ-ইসলামিক’ আখ্যা দিতে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে নিরাপত্তা ইস্যুতে তারিখ পেছানো হয়।
২০১১ সালের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা মুহাম্মাদু বুহারির পরাজয়ের পর নাইজেরিয়ায় দাঙ্গা শুরু হয়। ওই দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আটশ’ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫