ঢাকা: বিশ্বের সবচেয় বয়সী জীবিত মানুষ জাপানের মিসাও ওকাওয়া মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ১১৭ বছর বয়সী এই নারী।
জীবনের শেষ দিনগুলোতে জাপানের ওসাকা নগরীর একটি নার্সিং হোমে বসবাস করতেন ওকাওয়া।
১৮৯৮ সালের ৫ মার্চ ওসাকায় জন্ম নেন তিনি। মারা যাওয়ার সময় তিনি তিন সন্তান, চার নাতি এবং ছয় পৌত্র-পৌত্রি রেখে যান।
২০১৩ সালে ওকাওয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তির মর্যাদা দেয গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত নারী।
গত মাসের প্রথমদিকে তার ১১৭তম জন্মদিন পালনের সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তার কাছে ১১৭ বছরের জীবন খুব একটা দীর্ঘ মনে হয়নি। এছাড়া রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং প্রিয় খাবার সুশিই তার দীর্ঘজীবনের রহস্য বলে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ওকাওয়ার ওই জন্মদিন অনুষ্ঠান জাপানের জাতীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
ওসাকা নগরীতে কিমানো নির্মাতা পিতা-মাতার ঘরে জন্ম নেন ওকাওয়া। ১৯১৯ সালে তার বিয়ে হয় স্বামী ইউকিও’র সঙ্গে। এ দম্পতি জাপানের কোবে শহরে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ১৯৩১ সালে মারা যায় তার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর ফের ওসাকায় ফিরে আসেন তিনি।
নিজের দীর্ঘ জীবদ্দশায় তিনটি শতাব্দী স্পর্শ করেন ওকাওয়া। এ সময়ের মধ্যে জাপানের চারজন সম্রাট ও ছয়জন ব্রিটিশ রাজা এবং ২০ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের শাসনকাল দেখেছেন তিনি।
ওকাওয়া মারা যাওয়ার পর বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত ব্যক্তি কে সে ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি, তবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সাইট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত পুরুষের নাম সাকারি মোমোই। তিনিও জাপানের বাসিন্দা। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি ১১২ বছর পূর্ণ করেন।
গিনেজ রেকর্ড অনুযায়ী এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বয়সে মারা যাওয়া মানুষ হলেন ফ্রান্সের জিন ক্যালমেন্ট। ১২২ বছরের বেশি সময় পৃথিবীতে অতিবাহিত করে ১৯৯৭ সালে মারা যান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫