ঢাকা: ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি আলোচনা সফল হওয়ায় নাখোশ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র ইসরায়েল। সেই সঙ্গে এ চুক্তির শক্ত বিরোধিতাও করেছে দেশটি।
আলোচনার সময়সীমা পার হওয়ার দুইদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক মত হওয়া গেছে বলে ঘোষণা আসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ওই বৈঠক থেকে।
ঘোষণা আসার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, এ চুক্তি ইসরায়েলের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি ইরানের ‘আগ্রাসন’ ও ‘সন্ত্রাস’কে উৎসাহিত করবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুবিধাজনক চুক্তি সম্পাদিত না হওয়া পর্যন্ত ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্বকে তাগিদ দেন নেতানিয়াহু।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনার শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে মার্কিন কংগ্রেসে আমন্ত্রণ জানায় দেশটির রিপাবলিকান পার্টি।
সেসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইরানের সন্ত্রাসী, দালালরা গাজা, লেবাননে সহিংসতা ছড়াচ্ছে। ইরানের সমর্থনেই সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সেখানকার অধিবাসীদের হত্যা করছে। শিয়া মিলিশিয়ারা ইরাকে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে ওই দেশটির সমর্থনেই। শুধু তাই না, লোহিত সাগরীয় অঞ্চলের অস্থিরতা এই ইরানের কারণেই।
ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ইরানের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, আইএসআইএস এর বিরুদ্ধে ইরানের যুদ্ধ তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু করে দিতে পারে না। ইরান ও আইএস প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, উভয় পক্ষই ইসলামিক জঙ্গিবাদের মুকুটের জন্য লড়ছে। উভয়ই প্রথমে আঞ্চলিক এবং পরে বিশ্বজুড়ে ইসলামি জঙ্গিবাদের সাম্রাজ্য কায়েম করতে চায়।
তবে হোয়াইট হাউজের সাথে পরামর্শ না করে নেতানিয়াহুকে কংগ্রেসে আমন্ত্রণ সেসময় ভালো চোখে দেখেনি ওবামা প্রশানস। এমনকি তার বক্তব্যে নতুন কিছু খুঁজে না পাওয়ার কথাও পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমকে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৫