ঢাকা: ইরানের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে তেহরানকে অত্যাধুনিক মিসাইল সরবারহ করবে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এক চুক্তির মাধ্যমেই এটি সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার (১২ এপ্রিল) রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের ওপর থেকে নিজ দেশের অস্ত্র ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন বলে জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে। এরপরই ইরানকে মিসাইল সরবরাহের ঘোষণা আসে।
তবে মিসাইল সরবরাহে মস্কোর এ সিদ্ধান্তকে সহজভাবে নিচ্ছে না ওয়াশিংটন। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের মনেও সৃষ্টি করেছে ভীতির।
টেলিফোনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভকে হোয়াইট হাউজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেছেন, মস্কোর এই পদক্ষেপ ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর হীতে বিপরীত কিছু ঘটাতে পারে।
এ ব্যাপারে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে সার্জেই ল্যাভরভ বলেন, চলতি মাসের প্রথমদিকে ইরানের সঙ্গে আলোচনা সফল হওয়ার পর ২০১০ সালে রাশিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে অপ্রযোজনীয় করে তুলেছে।
তিনি বলেন, এস-৩০০ একটি প্রতিরক্ষামূলক মিসাইল। এটি আক্রমণাত্মক কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কাজেই ইসরায়েলসহ কোনো দেশেরই সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
এদিকে, ভ্লাদিমির পুতিনের মিসাইল সরবরাহের এই প্রস্তাবকে খুব দ্রুতই স্বাগত জানিয়েছে তেহরান।
খুব শিগগিরই ইরানকে অত্যাধুনিক এস-৩০০ মিসাইল সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে মস্কো কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে তেহরানের সঙ্গে এস-৩০০ মিসাইল সরবরাহের বিষয়ে আশি কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো। কিন্তু এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়ে যাওয়ায় তা আর সরবরাহ করা যায়নি সেসময়।
একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৩০০ মিসাইলের পাল্লা দুইশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত। সেই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক এই মিসাইল নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই পরিচালনা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৫
আরএইচ