ঢাকা: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করতে চলেছে দেশটির আদালত। এ রায়ে ক্ষমতায় থাকাকালে বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মিশরে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছে দেশটির আদালত। দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এবারই প্রথম কোনো রায় ঘোষিত হতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরসির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিষয়টি কিছুতেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এর আগে মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হওয়াকে যুক্তি হিসেবে উপস্থাপণ করছেন তারা এক্ষেত্রে।
এদিকে, মুরসির বিরুদ্ধে আরো দু’টি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা দু’টির একটিতে বিদেশি শক্তির চর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অপরটিতে ২০১১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনে মোবারক বিরোধী আন্দোলনের সময় জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আগামী ১৬ মে এ মামলা দু’টির রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এই মামলা দু’টিতেও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গণবিক্ষোভ চলাকালে ২০১৩ সালের ৩ মে এক সেনা অভ্যুত্থানে মোহাম্মদ মরুসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের ক্ষমতা দখল করেন দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এরপর মুসলিম ব্রাদারহুড কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নতুন প্রশাসন। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক আটক হন।
এদের মধ্যে শতাধিককে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়, যাকে ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন‘ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ঘোষিত হতে চলা মামলায় মুরসি ও তার ১৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে তিন বিক্ষোভকারীকে হত্যা ও বেশ কয়েকজনকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, মুরসির পক্ষের আইনজীবিরা বলছেন, ওই সংঘাতে মুরসির সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ নেই। যারা সেসময় নিহত হন, তারা সকলেই ব্রাদারহুড সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
আরএইচ