ঢাকা: শনিবার আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে এখন পর্যন্ত ৬৮৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এদিকে ভূমিকম্পের ঘটনায় নেপালে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন প্রচুর মানুষ, যাদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সময় যত পেরোচ্ছে তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই কমে আসছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) নেপালের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে (বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২টা ১১ মিনিট) আঘাত হানে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরে পোখারার নিকটবর্তী লামজুংয়ের ভূগর্ভের ৯.৩ মাইল গভীরে। লামজুং থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার।
মূল কম্পনের আগে পরে আরও বেশ কয়েকটি মাঝারি ও মৃদু মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী প্রথম ভূমিকম্পটির ২৬ মিনিট পর দ্বিতীয় এবং এর ৮ মিনিট পর তৃতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন মাত্রার মোট ১৫-১৭টি কম্পন অনুভূত হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও নাগরকোট, কোদারি ও পানাওতি সহ পুরো নেপাল জুড়েই অনুভূত হয় এই কম্পন।
ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন ভবন ধসে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে বহু প্রাচীন মন্দির ও স্থাপনা। অসংখ্য মানুষ এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
কাঠমান্ডুতে নয় তলা বিশিষ্ট একটি প্রাচীন টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ায় এর নিচে চাপা পড়েছেন চার শতাধিক মানুষ।
এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই এভারেস্ট শৃঙ্গ ও আশপাশের বেশ কয়েকটি পর্বতে শুরু হয় তুষার ধস।
অ্যালেক্স গ্যাভেন নামের এক পর্বতরোহী এভারেস্টের একটি বেস ক্যাম্প থেকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেন।
তুষার ধসের ঘটনায় ইতোমধ্যেই এভারেস্ট সংলগ্ন হিমালয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে থেকে ৮ পবর্তরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়।
কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়েতে ফাঁটল দেখা দেয়ায় বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভূমি ধস ও পাহাড় ধসে কাঠমান্ডুর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগ রক্ষাকারী বেশ কয়েকটি সড়ক মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
নেপাল ছাড়াও ভূমিকম্পে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী ভারত। নেপাল সীমান্তবর্তী ভারতের বিহার রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম সহ ভারতের অন্যান্য স্থানেও ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। সব মিলিয়ে ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন।
** নেপালে ভূমিকম্প, প্রাণহানি বেড়ে ৬শ’
** নেপালের ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে চারশ’
** নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত দেড় শতাধিক
** ভূমিকম্পে নেপালে ব্যাপক ভূমিধস
** ভবন ধসে শত শত আটকা
** ভূমিকম্পে ধোবাউড়ায় ৫ শিক্ষার্থী আহত
** নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত দেড় শতাধিক
** ৭.৫, ৫.৪, ৬.৫, ৫.৮ ও ৫.২ মাত্রার পরপর পাঁচ ভূমিকম্প
** ফেনীতে ভূমিকম্পে ১০ তলা ভবনে ফাটল
** যশোরে স্কুল ভবনে ফাটল, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
** কাঠমাণ্ডুতে নিহত চার, এয়ারপোর্ট বন্ধ
** সাভারে কারখানায় আতঙ্ক, নিহত এক, আহত শতাধিক
** ভূমিকম্পে ধোবাউড়ায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
** কিশোরগঞ্জে মসজিদে ফাটল
** দেশজুড়ে ভূমিকম্প, ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে
** দফায় দফায় ভূমিকম্পে কাঁপছে নেপাল
** আবারো ভূমিকম্প, মাত্রা ৫.৪
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
আরআই
