ঢাকা: ইয়েমেনে সন্ত্রাস দমনে যৌথবাহিনীর নতুন অভিযান শুরুর পর সংকট চরমে পৌঁছেছে। বিমান হামলার পাশাপাশি রাজধানী সানাসহ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘর্ষ।
গত ২৬ মার্চ ইয়েমেনের জনগণ ও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারকে রক্ষায় শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহী ও এর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করে। টানা প্রায় এক মাস বিমান হামলার মধ্য দিয়ে পরিচালিত ‘অপারেশন ডিসিসিভ স্টর্ম’ সমাপ্ত ঘোষনা করা হয় গত ২১ এপ্রিল। একইদিন স্থানীয় সময় রাত ১০টায় সন্ত্রাস দমনে নতুন অভিযান ‘অপারেশন রিনিউয়াল অব হোপ’ শুরুর ঘোষনা দেয় বাহিনী।
ঘোষনার সময় নতুন এ অভিযানে ইয়েমেনে সন্ত্রাস দমন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন যৌথবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আল-আসিরি।
নতুন এ অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে অন্তত পাঁচ জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এদিকে, যেকোনো উপায়ে সৌদি হামলা প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়ে হুথি বিদ্রোহীরা সম্মুখ লড়াইয়ে নেমেছে। সাবেক ইয়েমেনী প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহের অনুগত এলিট বাহিনীও সম্মুখ লড়াইয়ে সৌদি হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। রাজধানী সানা, বন্দরনগরী এডেনসহ মারিব, দালিয়া, শাবওয়া, লাহজ ও অন্যান্য প্রদেশ থেকেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
হুথি বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠিপোষক সন্দেহে অভিযুক্ত ইরানও গালফ উপসাগরে নিজেদের জাহাজ আগামী আরও কয়েক মাস অবস্থান করবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে মার্কিন-ইরান সমঝোতায় দেশটির এ পদক্ষেপ প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে ১৯ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসের সহিংসতায় প্রায় সাড়ে নয়শ’ মানুষ নিহত ও সাড়ে তিন হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
আরএইচ