ঢাকা: কাগজপত্র ঠিক না থাকায় ও নথিভুক্ত না হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্ধশত অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) জোহান্সবার্গের মেফেয়ার ও হিলব্রো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গুয়েতাং পুলিশের মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল লুঙ্গেলো লামিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
চলমান অভিবাসী বিরোধী সহিংসতার মধ্যেই দুর্নীতি বিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনী (এসএএনডিএফ) ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনী।
তবে অভিবাসী বিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে পরিচালিত এই অভিযানের কোনো যোগ সূত্র নেই বলেই দাবি করেছে কর্তৃপক্ষের।
লেফটেনেন্ট কর্নেল লামিনি এ বিষয়ে বলেন, এই অভিযান একটি সাধারন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ছাড়া আর কিছুই নয়।
এদিকে, অভিবাসী বিরোধী চলমান সহিংসতায় যেকোনো ধরণের নাশকতা ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
৩০ মার্চ থেকে ফুঁসে ওঠা এ সহিংসতায় শুধুমাত্র কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশ থেকেই এক হাজারের বেশি অভিবাসী ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর পরপরই জোহান্সবার্গসহ বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে অভিবাসী বিরোধী এ সহিংসতা।
চলমান সহিংসতায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ।
১৯৯৪ সালে শ্বেতাঙ্গ শাসনের অবসানের পর বিদেশিরা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমাতে শুরু করে। এর মধ্যে আফ্রিকার অন্যান্য দেশ ও এশিয়া মহাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ সেখানে জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমায়।
সরকারি হিসাবে, দেশটিতে প্রায় বিশ লাখ অভিবাসী রয়েছেন, যা এর মোট জনসংখ্যার চার শতাংশ। তবে বেসরকারি কিছু সংস্থার তথ্যে সেখানে পঞ্চাশ লাখ অভিবাসী থাকার কথা দাবি করা হয়।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার ২৪ শতাংশ। সেখানকার স্থানীয়দের অনেকেই নিজেদের বেকারত্বের কারণ হিসেবে অভিবাসীদেরকে দায়ী বলে মনে করেন। এরই প্রেক্ষিতে তাদের একটা পক্ষ দেশ থেকে বিদেশিদের বিতাড়নে সহিংস হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
আরএইচ