ঢাকা: মাদক পাচারের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই অস্ট্রেলীয়র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইন্দোনেশিয়া। একই সঙ্গে আরও ছয়জনের সাজাও কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায় (আন্তর্জাতিক সময় বিকাল সাড়ে ৫টায়) নুসাকাম্বাঙ্গান দ্বীপে ফায়ারিং স্কোযাডের মাধ্যমে আসামীদের সাজা কার্যকর করা হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এর আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ৭২ ঘণ্টা আগে সাজা প্রাপ্তদের এ বিষয়ে জানানো হয় বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশীয় সরকার।
সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, কুখ্যাত ‘বালি নাইন’ মাদক পাচার চক্রের দুই অস্ট্রেলীয় সদস্য অ্যান্ড্রু চ্যান ও মিউরান সুকুমারান, ঘানার মার্টিন অ্যান্ডারসন, ইন্দোনেশিয়ার জয়নুল আবেদিন বিন মাহমুদ বদরুদ্দিন, নাইজেরিয়ার আগবাজি সালামি, সিলভেস্টার ওবেকউই নওলিসে, ওকউদিলি ওয়াতানজে ও ব্রাজিলের রদ্রিগো গুলার্তে।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী ফ্রান্সের সার্জে আরেস্কি আতলাউই ও ফিলিপিনা মেরি জেনে ফিস্তা ভেলোসো’র আপিল শুনানি চলমান থাকায় তাদের সাজা আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে সাজা কার্যকরের আগের দিন কারাগারে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বান্ধবী ফেবিয়ান্তি হেরেউইলাকে বিয়ে করেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যান্ড্রু চ্যান।
এদিকে, সাজা কার্যকরের পরপরই ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থানরত অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়েছে তার সরকার। ২০০৬ সালে মাদক পাচার কালে আটক অ্যান্ড্রু ও মিউরানকে বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে দফায় দফায় অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু মাদক পাচার বন্ধে শক্ত অবস্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর প্রশাসন এসব বিষয়ে কর্ণপাতই করেনি।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা স্থগিতের অনুরোধ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও। কিন্তু তারও কোনো জবাব দেয়নি ইন্দোনেশিয়া।
সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে সোমবার (২৭ এপ্রিল) বিচার চলাকালে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিতের অনুরোধ জানান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। সে অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করে ইন্দোনেশীয় সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
আরএইচ