ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে সেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত জনতা।
শুক্রবার (০১ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে এ চার্জ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এ ঘটনায় আরো পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৯ এপ্রিল পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে নিহত হয় ফ্রেডি গ্রে (২৫) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ। তার দেহে বেশ কিছু মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ঘাড়ে ও কণ্ঠনালীতে তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আঘাতগুলোর কারণেই ফ্রেডির মৃত্যু হয়।
নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে ফ্রেডিকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি ধারাল ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল নিহত ফ্রেডি গ্রে’র শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা পরই বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতার শুর হয় বলে জানা গেছে। এসময় হামলা, লুটপাট, চুরি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থা জারি করে মেরিল্যান্ডের প্রাদেশিক সরকার। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহব্যাপী রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউও জারি করা হয়।
কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এসে সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতনে প্রতিবাদে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এরই সূত্র ধরে ২৯ এপ্রিল নিউইয়র্ক, বোস্টন, ওয়াশিংটনসহ বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে, ছয় পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে মাইকেল ডেভি নামের এক আইনজীবী বলেছেন, তারা কোনো ভুলই করেনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও বলেন, সবসময় যথপোযুক্ত কারণে ও প্রশিক্ষণ অনুযায়ী কাজ করেছে তারা।
এর আগে ফ্রেডি গ্রে’র আটকের বিষয়টি বেআইনী বলে মন্তব্য করেছিলেন বাল্টিমোরের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর মেরিলিন মোসবি।
অভিযুক্ত ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকেই সাময়ীকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করার পর তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
আরএইচ