ঢাকা: অভিবাসীদের ঢল নেমেছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে এতদঅঞ্চলের কড়া পদক্ষেপের মুখে এ অভিবাসী স্রোত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সোমবার সকালে প্রথমে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের আচেহ প্রদেশের জলসীমায় পৌঁছানো একটি বড় নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ প্রায় ৪০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টকার্ড ও পুলিশ। বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ আন্দামান ও নিকোবারের কাছাকাছি আচেহ ভূখণ্ডের অবস্থান।
প্রদেশটির অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী বিভাগের প্রধান বুদিওয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধার এ ৪০০ অভিবাসীর মধ্যে মায়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা রয়েছেন।
তবে, এদের মধ্যে কতোজন রোহিঙ্গা ও কতোজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বুদিওয়ান।
এরপর মালয়েশিয়ার লংকাবি দ্বীপের সমুদ্র সৈকতের কাছ থেকে আরও তিনটি বড় নৌকা আটক করে স্থানীয় কোস্টকার্ড ও পুলিশ। এই নৌকা তিনটি থেকে উদ্ধার করা হয় এক হাজার ১৮ জন অভিবাসী। এই অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা।
লঙ্কাবির ডেপুটি পুলিশ প্রধান জামিল আহমেদ বলেন, সম্ভবত মানবপাচারকারীরা এই নৌকা তিনটিকে লংকাবি দ্বীপের জলসীমায় ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে, অভিবাসীদের মধ্যে কতোজন বাংলাদেশি আর কতোজন রোহিঙ্গা তা তৎক্ষণাৎ জানাতে পারেননি জামিলও।
এর আগে, রোববার (১০ মে) আচেহ উপকূলে ম্যানতাং পুনতংগামী দু’টি নৌকা থেকে ৫০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও পুলিশ। এদের আটকের কথা নিশ্চিত করেন জাকার্তায় নিযুক্ত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ডেপুটি চিফ অব মিশন স্টিভ হ্যামিল্টন। তিনি জানান, নারী ও শিশুসহ একটি নৌকায় ৪৩০ জন ছিল, আরেকটিতে ছিল ৭০ জন।
সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের হাতে জিম্মি হয়ে বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের প্রাণ হারানোর ঘটনায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় তোলপাড় চলছে। বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এই দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এরই মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়া উপকূলে দফায় দফায় অভিবাসী উদ্ধারের খবর আসছে।
** ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪০০ অভিবাসী উদ্ধার
** মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ১০০০ অভিবাসী
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫
এইচএ