ঢাকা: ভূমধ্যসাগরে মানব পাচার রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেওয়া পদক্ষেপগুলোর সমালোচনা করেছে লিবিয়া।
সোমবার (১১ মে) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভূমধ্যসাগর এলাকায় সেনাবাহিনী ব্যবহারের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন জাতিসংঘে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দাব্বাসি।
তিনি বলেন, ইইউয়ের এই পদক্ষেপ খুবই অপরিষ্কার ও অত্যন্ত ভীতিকর।
এর আগে শুক্রবার (০৮ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গেও এক সাক্ষাৎকারে দাব্বাসি ইইউয়ের সমালোচনা করেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি লিবিয়াকে কেন্দ্র করে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে মানব পাচার মাথাচাড়া দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
এসময় তিনি এই সমস্যা থেকে উত্তরণের সবচেয়ে সঠিক সমাধান হিসেবে তার সরকারকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে তোলার দাবি করেন।
এদিকে, চলতি বছর এরই মধ্যে অন্তত ৬০ হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে সাগরে ডুবে এক হাজার ৮শ’র বেশি মানুষের সলিল সমাধি ঘটেছে বলে জানায় বিশ্ব সংস্থাটি।
এর আগে চলতি বছর এপ্রিলে স্মরণকালের সবচেয়ে মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনায় ভূমধ্যসাগরে অন্তত ৮শ’ মানুষ নিহত হয়। এর কয়েকদিন আগে অপর এক নৌযান ডুবির ঘটনায় ৪শ’ মানুষের সলিল সমাধি ঘটে।
এরই প্রেক্ষিতে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় মানব পাচার রোধে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই এলাকায় ইউরোপীয় সীমান্তে সেনা প্রহরা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপত্তাজনিত খরচ তিনগুণ করার সিদ্ধান্ত হয় এক জরুরি বৈঠকে। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপের আশা প্রকাশ করে ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫/ আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা
আরএইচ