ঢাকা: সৌদি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে আরও সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। ইয়েমেনের ভেতর থেকে সৌদি শহরে বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষিতেই এই সেনা মোতায়েন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১১ মে) সৌদি আরবের সীমান্ত শহর নাজরানে বিপুল পরিমাণ সেনা পৌঁছেছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
তবে হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, সৌদি হামলার জবাব দিতেই তারা জিজান ও নাজরান শহরে হামলা চালিয়েছে।
হুথিদের অভিযোগ, সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীই প্রথমে ইয়েমেনের সা’দা ও হাজ্জাহ প্রদেশে তাদের স্থাপণা লক্ষ্য করে বিমান ও রকেট হামলা চালায়। এসময় অন্তত দেড়শ’ রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এর জবাব দিতেই সোমবার (১১ মে) সৌদি আরবের সীমান্ত শহর জিজান ও নাজরানে রকেট ও মর্টার হামলা চালানো হয়।
হুথিদের ওই হামলায় নাজরানে একজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি সিভিল ডিফেন্স।
হুথিদের হামলার পরপরই ইয়েমেনের তাইজ শহর ও তেল সমৃদ্ধ মারিব প্রদেশে আবার হামলা চালায় যৌথবাহিনী। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মঙ্গলবার (১২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা থেকে শুরু হচ্ছে সৌদি প্রস্তাবিত পাঁচদিন ব্যাপী যুদ্ধবিরতি। এ প্রস্তাবে হুথিরাও সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে হতাহত ও অসহায় জনসাধারণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সুযোগ করে দিতেই এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে দেশজুড়ে সবার কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতি আসলে খুবই কম সময় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো। রোববার (১০ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে ১৭টি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা এক যোগে এ সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
আরএইচ