ঢাকা: কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের হার বাড়ার পাশাপাশি পৃথিবীতে এই গ্যাস শোষণের হারও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত উডস হোল রিসার্চ সেন্টার সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে, যেখানে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, পৃথিবীতে বছরে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরিত হয়, তার অর্ধেক পরিমাণই বায়ুমণ্ডলে আটকে থাকে। বাকি অর্ধেক ভূ-পৃষ্ঠ ও সাগরের বাস্তুসংস্থানে শোষিত হয়। বর্তমানে পৃথিবীতে এই গ্যাস নিঃসরণের সঙ্গে তুলনামূলকহারে শোষণের হার বেড়েছে।
গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক উডস হোল রিসার্চ সেন্টারের জেষ্ঠ্য বিজ্ঞানী ডক্টর রিচার্ড হফটন বলেন, ১৯৬০ সালের তুলনায় ভূ-পৃষ্ঠে ও সাগরে বর্তমানে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের হার তিনগুণ বেড়েছে। এটা একটা ভালো সংবাদ।
তিনি বলেন, শোষণের হার না বাড়লে বর্তমানের তুলনায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যেত। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন আরও প্রকট আকারে দেখা দিত।
তবে এই বৃদ্ধি অব্যাহত নাও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রিচার্ড।
১৯৫৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জাতীয় সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসনের (ন্যাশনাল ওসেনিক এন্ড এটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন- এনওএএ) অঙ্গ সংস্থা মাউনা লাও অবজারভেটরি (এমএলও) হাওয়াই দ্বীপুপঞ্জে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড জমা হওয়ার হার পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
এছাড়া বিশ্বের আরও অনেক স্থানে উপকার্যালয় পরিচালনা করে সংস্থাটি মৌসুমি ও ভৌগলিক পার্থক্যের ওপর নির্ভর করে এই গ্যাস জমা হওয়ার হারও পর্যবেক্ষণ করছে।
ডক্টর রিচার্ড বলেন, গত পাঁচ দশকে ভূপৃষ্ঠে ও সাগরে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বর্তমানে বছরে যে পরিমাণ এই গ্যাস নিঃসরিত হয়, তার অর্ধেকই শোষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
আরএইচ