ঢাকা: সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নীপিড়নের ফলে অভিবাসী সমস্যা সৃষ্টির বিষয়ে নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে মায়ানমার।
দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পরিচালক মেজর জও এইচতেয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জও এইচতেয় বলেন, আমরা অভিবাসী সমস্যাকে অস্বীকার করছি না। তবে তা রোহিঙ্গাদের ওপর নীপিড়নের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে, সেটা মানতে পারছি না।
এসময় মানব পাচার রোধে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ব্যাংকক সামিটে উপস্থিত থাকার বিষয়ে মায়ানমার নেতাদের অনিশ্চয়তার কথাও জানান তিনি।
জও বলেন, সামিটে কি বিষয়ে আলোচনা হবে তার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের নেতারা নির্ধারণ করবেন, সেখানে প্রতিনিধি যাবে কি না।
এর আগে রোহিঙ্গাদের ওপর নীপিড়নের কারণেই বঙ্গপোসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসী সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপ এশিয়া পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর নীপিড়ন চালিয়ে এই সমস্যার জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এই সমস্যাকে সংকটের দিকে নিয়ে গেছে ঠাণ্ডা মাথায় অভিবাসী বহনকারী নৌকাগুলোকে সাগরে ফিরিয়ে দিয়ে। এরপর অসহায় মানুষগুলোর ক্ষুধা-তৃষ্ণা, অসুস্থতা ও নৌকাডুবিতে মুত্যুবরণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় দুই হাজারেরও বেশি অভিবাসী উদ্ধার করেছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, আরও কয়েক হাজার ক্ষুধার্ত ও অসুস্থ অভিবাসী এখনও সাগরে ভাসছে।
চলতি বছর মালয়েশিয়ার সরকার প্রায় পঞ্চাশ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের পক্ষে নতুন আর কাউকে ঠাঁই দেওয়া সম্ভব নয় বলে এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াও তাদের অপরাগতার কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাগুলোর বেশিরভাগকেই সাগরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
আরএইচ