ঢাকা: ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস/আইএস) জঙ্গিরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিবিয়া সরকারের এক উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
লিবিয়া সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল বাসিত হারুন বিবিসিকে জানান, পাচারকারীরা ইউরোপ অভিবাসীদের সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের নৌকায় লুকিয়ে রাখছে।
জঙ্গি অধ্যূষিত উত্তর আফ্রিকার এক নৌকা মালিকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বাসিত হারুন বলেন, এ কাজের মাধ্যমে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা তাদের আয়ের অর্ধেক এ খাত থেকে উপার্জন করছে।
এ ছাড়াও এ কাজের মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে ইউরোপ আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
এদিকে, জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান মতে, এ বছর ৬০ হাজার লোক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
এর মধ্যে এক হাজার আটশ অভিবাসী সমুদ্রযাত্রায় মারা গেছেন। সমুদ্রযাত্রার অনুপযোগী ও অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে এদের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছরের মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি।
বিবিসি রেডিও ফোর-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লিবিয়া সরকারের উপদেষ্টা হারুন বলেন, ইউরোপিয়ান পুলিশ জানতে পারে না যে, কে আইএস জঙ্গি আর কে অভিবাসী। অথবা আদৌ অভিবাসী নাকি সবাই আইএস জঙ্গি।
তিনি এটাও উল্লেখ করেন, আইএস জঙ্গিরা নৌকার মালিকদের ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার অনুমতি দিলেও তাদের কাছ থেকে প্রায় ক্ষেত্রেই শতকরা ৫০ ভাগ অর্থ আদায় করে থাকে।
বিবিসি জানায়, ২০১৪ সালে দুই লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন। শুধুমাত্র ইতালিতেই পৌঁছেছেন এক লাখ ৪০ হাজার অভিবাসী।
এছাড়া ২০১৪ সালে সমুদ্রযাত্রায় সাড়ে তিন হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালে মারা গেছে ছয়শ অভিবাসী।
বাসিত হারুন বলেন, ভবিষ্যতে ইউরোপে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে সেখানে আইএস জঙ্গিরা তাদের সদস্যদের অভিবাসী হিসেবে পাঠাচ্ছে।
আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ার বেশির ভাগ অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে। সম্প্রতি, লিবিয়াতেও তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
এবি