ঢাকা: বিপুল সংখ্যক মানব পাচারে অভিযুক্ত সাবেক থাই আঞ্চলিক এক কর্মকর্তা আত্মসমর্পন করেছেন।
সোমবার (১৮ মে) পাজ্জুবান অংকাচোটেফান নামের ওই ব্যক্তি আত্মসমর্পন করেন বলে থাই পুলিশের মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল প্রাউত থাভোর্নসিরির বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
পাজ্জুবান ‘কো তঙ’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত। থাই মানবপাচার জগতে তাকে ‘সম্রাট (কিংপিন)’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি দেশটির সাতুন প্রদেশের প্রাদেশিক সরকারের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন।
গত সপ্তাহে পাজ্জুবানের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ দায়ের করে থাই পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে তিনি আত্মসমর্পন করলেন বলে জানা গেছে।
লেফটেনেন্ট জেনারেল প্রাউত থাভোর্নসিরি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তদন্তের স্বার্থে এখন তাকে দক্ষিণে নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, চাকরিকালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে বিপুল সংখ্যক মানব পাচারে ভূমিকা রেখেছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডের একটি জঙ্গলে অভিবাসীদের ‘গণকবরের’ সন্ধান মেলার আগ পর্যন্ত এই প্রদেশ মানবপাচার রুটের একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান শুরু করে থাই পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ৬৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩১ জন হয় আত্মসমর্পন করেছে, নতুবা গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া মানবপাচারের দৌরাত্ম বন্ধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পঞ্চাশজনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে তার অবস্থান থেকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দোষি সাব্যস্ত হলে পাজ্জুবানকে সর্বনিন্ম চার বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থদণ্ডও দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
আরএইচ