ঢাকা: সমুদ্রে ভাসমান মানুষ উদ্ধারে কিছু করার জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি ফের আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার প্রতি সকর্তকতা উচ্চারণ করে সংস্থাটি জানায়, সমুদ্রে ভাসমান অসহায় হাজার হাজার মানুষ সরকারের প্রতি কিছু করার জন্য অসহায়ভাবে আবেদন করে যাচ্ছে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র এড্রিয়ান এডওয়ার্ড জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হিসাব মতে, মায়ানমার ও বাংলাদেশের চার হাজারের বেশি মানুষ সমুদ্রে ভাসমান রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ৪০ দিনে দুই হাজারের বেশি অভিবাসী বহনকারী অন্তত পাঁচটি নৌকা ইতোমধ্যে দেশ দুটির উপকূল ছেড়ে এসেছে।
তিনি বলেন, তবে অসমর্থিত সূত্রমতে, এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি।
ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে, মায়ানমারের কয়েকশ অভিবাসী রাখাইন রাজ্যে ফিরে গেছেন। তবে এজন্য পাচারকারীদের গড়ে দুইলাখ থেকে তিনলাখ কিয়াট (১৮২-২৭৩ মার্কিন ডলার) মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হয়েছে।
এ ছাড়া যারা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছেছেন, তাদের কোনো খাবার ও পানি নেই। তারা ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। আবার নৌকায় নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় অনেকেরই প্রাণহানি ঘটেছে।
এড্রিয়ান এডওয়ার্ড পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সাংবাদিকদের জানান, একসপ্তাহের মধ্যে নতুন করে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডে অভিবাসীদের অবতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত নয়দিনে ইন্দোনেশিয়ায়, একহাজার তিনশ ৯৬ জন, এক হাজার একশ সাত জন মালয়েশিয়ায় এবং একশ ছয়জন থাইল্যান্ডে অবতরণ করেছেন।
এদের অনেকেই এখন জেলহাজতে আটকা রয়েছেন।
এডওয়ার্ড থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমারের প্রতি জরুরি মানবিক আবেদন জানিয়ে বলেন, ভাসমান মানুষদের জন্য প্রাণ বাঁচানোর ওষুধ, নিরাপত্তা এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার বাড়িয়ে দেওয়ার এখনই সময়। তবে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি এ সময় মায়ানমারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, যে সব উদ্বাস্তু নাগরিক আবার নিজে দেশে ফিরে যাচ্ছেন, তাদের যেন কোনোরকম শাস্তির মুখোমুখি করা না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৫
এবি