ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ কাতার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে চলমান উন্নয়ন কাজে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশটি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি এ ধরণের মন্তব্য করে।

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাতার সরকারকে চাপ দিতে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা ফিফাকে বিশ্ব আসরটির সবচেয়ে বড় স্পন্সর প্রতিষ্ঠান- অ্যাডিডাস, কোকাকোলা ও ভিসা অনুরোধ জানানোর পরদিনই অ্যামনেস্টি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল।

ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ উপলক্ষে কাতারে চলছে সংস্কার কাজ। দেশটির ভবন, সড়ক, হোটেল, স্টেডিয়ামগুলো সংস্কারে বিশাল বাজেটের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে সরকার। আর এই কাজে অংশ নেওয়াদের বেশিরভাগই স্বল্প মজুরির বিদেশি শ্রমিক।

প্রাপ্য মজুরি কম দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় ছুটি না দেওয়া, অধিক পরিশ্রম করানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে সেখানে সফররত যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক সাংবাদিককে আটক করার বিষয়টিও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় তোলে।

নতুন প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য কাতার সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করে। এছাড়া বিতর্কিত ‘কাফাফা’ কর্মী স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কাজের আংশিক প্রতিবেদন বিশ্বকে জানানোরও সমালোচনা করা হয়।

এদিকে, অ্যামনেস্টির নতুন এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কাতার। দেশটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এর সরকার। সেই সঙ্গে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে।

বিবৃতিতে দেশটির শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলে, বিদেশি শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে স্থানীয় শ্রমিকদের ব্যাপারে দেশের সাংবিধানিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার বিচারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

গত বছর মে মাসে কাতার কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছে। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি বলেই দাবি অ্যামনেস্টির।

মানিবাধিকার সংস্থাটির গালফ অঞ্চলে অভিবাসী বিষয়ক গবেষক মুস্তফা কাদরি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা একটা বছর অতিবাহিত হতে দেখেছি। কিন্তু তেমন কোনো পরিবর্তন দেখিনি কাতারে। উল্টো অবস্থা এখন আগের চেয়ে শোচনীয়। কারণ এখন শ্রমিকের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা ফিফা বলেছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে একজোট হয়ে তারাও কাতার সরকারকে চাপ প্রয়োগ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।