ঢাকা: সাগরে ভাসমান সহস্রাধিক অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের উদ্ধারের পরপরই দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের এক বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেওয়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে আন্দামান সাগরে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসী ভাসমান অবস্থায় মানবেতর দিনযাপণ করছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য ও নিজেদের পর্যবেক্ষণ যাচাই-বাছাই করেই ইউএনএইচসিআর অভিবাসীর এই সংখ্যা ধারণা করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, এর আগে তিন হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসী মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে ভিড়েছে। তাদেরকে দেশগুলোর উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
এসময় ইউএনএইচসিআর জানায়, ভাসমান অভিবাসীদের মধ্যে নীপিড়নের শিকার হয়ে দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের এক বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশিদেরকে উদ্ধারের পরপরই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এদিকে, মালয়েশিয়ার সরকার সাগরে অভিবাসীদের খোঁজে চারটি জাহাজ ও তিনটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। দেশটির নৌবাহিনী প্রধান আব্দুল আজিজ জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন সেনাবাহিনীও বহুজাতিক এই উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। পেন্টাগন মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল জেফরি পুল বৃহস্পতিবার (২১ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এছাড়া আন্দামান সাগরে প্রকট আকার ধারণ করা অভিবাসী সমস্যা সমাধানে ওবামা প্রশাসনের কাছে একযোগে আবেদন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ আইনপ্রণেতা। এই আইনপ্রণেতাদের মধ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট- উভয় দলেরই সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (২০ মে) আইনপ্রণেতাদের এই আবেদনের পরপরই মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন মায়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য সেখানে সফরের সিদ্ধান্ত নেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি বৃহস্পতিবার (২১ মে) নাইপিডো পৌঁছান। সেখানে তিনি দেশটির সরকারের প্রতি অভিবাসী সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংরাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৫
আরএইচ
** দুইশতাধিক যাত্রীসহ নৌকা উদ্ধার করেছে মিয়ানমারের