ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দ. সুদানে জাতিসংঘ ঘাঁটিতে গোলা, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট নিরাপদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
দ. সুদানে জাতিসংঘ ঘাঁটিতে গোলা, বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট নিরাপদ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দক্ষিণ সুদানে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলাকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে গোলার আঘাত লেগেছে। এ লড়াইয়ে অন্তত আট বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও শান্তিরক্ষী বাহিনীর কোনো সদস্যের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ওই এলাকায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদে আছেন।

অস্থিতিশীল দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার (২৩ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানান, শুক্রবার (২২ মে) দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই হলেও নীল নদ তীরের প্রধান তেলসমৃদ্ধ শহর মেলুত থেকে বিদ্রোহীদের হটিয়ে দেয় হেলিকপ্টার গানশিপ ও ট্যাংক নিয়ে প্রতিরোধে নামা সরকারি বাহিনী। টেলিভিশনগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, লড়াইয়ে সরকারি বাহিনীর ট্যাংক থেকে যখন বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষিপ্ত হচ্ছিল, তখন জ্বলন্ত মেলুতের ওপর দিয়ে সরকারি বাহিনীর সমর্থনে চক্কর দিচ্ছিল উগান্ডান সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার গানশিপ।

তবে, সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ের একপর্যায়ে মেলুতে জাতিসংঘের বেসামরিক লোক আশ্রয়ের একটি ঘাঁটিতে কয়েক দফায় গোলার আঘাত লাগে। ওই এলাকায় বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর শান্তিরক্ষীরা কাজ করছেন। বেসামরিক লোকদের আশ্রয়কেন্দ্রে এ নিন্দনীয় হামলার জন্য দু’পক্ষকেই অভিযুক্ত করছে জাতিসংঘ।

এ বিষয়ে এডমন্ড মুলেট নামে জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, মেলুতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে গত দু’দিনে ২২ গোলা নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এতে আট বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে, যেটা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

তিনি বলেন, আমি দু’পক্ষের সঙ্গেই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, যেন জাতিসংঘের স্থাপনা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রগুলো টার্গেট করা বন্ধ করা হয়।

জাতিসংঘ ঘাঁটিতে কারা হামলা চালিয়েছে এ ব্যাপারে সংস্থার তরফ থেকেই তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

২০১১ সালে সুদান ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা সালভা কির তার সাবেক ডেপুটি রিয়েক মাচারের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ তুললে এ লড়াই শুরু হয়। সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে এ ক’বছরের লড়াইয়ে অসংখ্য লোকের প্রাণহানি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫/আপডেট ১৯০৫ ঘণ্টা
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।