ঢাকা: সিরিয়ার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শহর পালমিরা দখলের চার দিনে ৪০০ লোকের কথিত ‘মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকর করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
রোববার (২৪ মে) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে হত্যার শিকার মানুষের এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করা যায়নি। তবে, আইএস জঙ্গিরা সরকারি বাহিনীর হাত থেকে পালমিরা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে আসায়, সংখ্যাটি সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
৫০ হাজার মানুষ পালমিরা শহরে বসবাস করতেন। রোমান সম্রাজ্যের প্রাচীণ নিদর্শন সবচেয়ে অক্ষতভাবে এ শহরে সংরক্ষিত ছিল। বুধবার শহরটি দখলের পর থেকে এসব স্থাপনা ধ্বংস করে আসছে আইএস জঙ্গিরা।
এর আগের দিন, ইরাকের রামাদি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইএস জঙ্গিরা। ২০১৪ সালে আইএসের বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বে যুদ্ধ ঘোষণার পর একদিনের ব্যবধানে দু’টি শহরের নিয়ন্ত্রণ জঙ্গিদের বড় ধরনের সফলতা বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, জঙ্গিরা ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে এবং মৃতদেহগুলো বিকৃত করেছে। তাদের অভিযোগ, গোপনে এসব লোক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং নির্দেশ অমান্য করেছে।
হত্যার শিকার এসব ব্যক্তির মধ্যে সরকারি অনেক চাকরিজীবী রয়েছে। একটি হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের প্রধান ও তার পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
আইএস সমর্থকরা ইন্টারনেটে ভিডিও আপলোড করেছে, যেখানে দেখানো হয়েছে, সরকারি বাহিনীর সৈন্যদের ধরতে আইএস জঙ্গিরা বিভিন্ন সরকারি ভবনে তল্লাশি চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বাশার আল আসাদ ও তার বাবার ছবি নামিয়ে ফেলছে।
সোস্যাল মিডিয়াতে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, শতাধিক মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সিরিয়ায় মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, পালমিরা শহরটি দখলের পর কিছু মানুষকে গলাকেটে হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা। তবে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানাতে পারেনি সংস্থাটি।
সংস্থাটি আরো জানায়, শহরটি দখলের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিন শতাধিক সৈন্যকে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা।
রামি আব্দুর রহমান নামে পর্যবেক্ষক সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, অনেক সৈন্য এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তবে, তারা কোথায় অবস্থান করছে বা তাদের বর্তমান অবস্থা কি কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
এমজেড/