ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হাতিয়ায় পুনর্বাসিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
হাতিয়ায় পুনর্বাসিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজার সীমান্তের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের হাতিয়া দ্বীপে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর দিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সরকারের মায়ানমার শরণার্থী বিভাগের প্রধান অমিত কুমার বাউলকে উদ্ধৃত করে বুধবার (২৭ মে) সংবাদমাধ্যমটি এ খবর দেয়।



যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশের তরফে এখনও কিছু খোলাসা করা হয়নি। তবে প্রকাশিত খবরে অমিত কুমারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘ সময় ধরে কক্সবাজার সীমান্তে বসবাসরত হাজারো রোহিঙ্গাকে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ হাতিয়ায় পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

তিনি জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বেশ কিছু অনানুষ্ঠানিক পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। এটা নিশ্চিত, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা সংকটের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন উদ্বেগ থেকেই সরকার এ পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও জানান অমিত কুমার।

ওই সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মায়ানমার সীমান্তবর্তী কক্সবাজার জেলার দু’টি শরণার্থী শিবিরে ৩২ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। এই শরণার্থীদেরই হাতিয়ায় পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে, সরকারের এই উদ্যোগ শরণার্থীদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে বলে সংবাদমাধ্যমটির কাছে দাবি করে করেছেন এক রোহিঙ্গা নেতা। মোহাম্মদ ইসলাম নামে ওই শরণার্থী নেতা বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আমাদের এই সংকটের সমাধান এখানেই করুক।

সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমানোর পথে আটক হয়েছে অনেক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি। তবে, পাড়ি জমানোর পথে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তে লাশ হওয়া অনেক রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশির গণকবর পাওয়ার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে। এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই সরকারের পরিকল্পনাটির খবর পাওয়া গেল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।