ঢাকা: সাড়ে চারশ’ আরোহী নিয়ে চীনের ইয়াংসি নদীতে ফেরিডুবির ঘটনায় আরও ১০ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হল।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) ওই ১০ মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে শিয়ানলির বিভাগীয় প্রধান হুয়াং ঝেংয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। ফেরিডুবির এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৩৬০ জনেরও বেশি আরোহী।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ঝড়ো আবহাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে। তবে ভেতরে অনেকে এখনও জীবিত রয়েছেন এমন আশায় তাদের উদ্ধারে উল্টে থাকা ফেরিটির তলদেশে একটি ফুটা (৫৫ সে.মি. বাই ৬০ সে.মি.) করা হয়েছে।
নৌ-প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লি কিশিউ বলেছেন, ফেরিটি যেহেতু খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডুবে গেছে, তাই এর ভেতর এখনও বাতাস আছে বলেই আমরা মনে করছি।
গত সোমবার (০১ জুন) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ‘ডংফ্যাংঝিশিং (ইস্টার্ন স্টার)’ নামের পর্যটকবাহী ফেরিটি চীনের ইয়াংসি নদীতে সাড়ে চারশ’ আরোহী নিয়ে ডুবে যায়। আরোহীদের মধ্যে চারশ’ পাঁচজন যাত্রী, ৫ জন ট্রাভেল এজেন্সির কর্মী এবং ৪৭ জন ক্রু ছিলেন।
ফেরিটি ৭৬ মিটার লম্বা। এর ওজন দুই হাজার দুইশ টন। ফেরির মালিক চংকিং ইস্টার্ন শিপিং কর্পোরেশন। শাংহাইয়ের একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ফেরিটি ভাড়া করে পর্যটকরা। গত এপ্রিলে এটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংকিংয়ের উদ্দেশ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নানজিং ত্যাগ করে। যাত্রাপথে ফেরিটির দেড় হাজার কিলোমিটার (৯৩০ মাইল) পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল।
চীনের ইয়াংসি নদীর নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশের জিয়ানলি এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় জাহাজটি। তবে এ সময় এটি কোনো বিপদসংকেত দেখায়নি। জাহাজডুবির পর কয়েকজন আরোহী সাঁতরে নদীর তীরে উঠে পুলিশে খবর দেয়। নদীর যে স্থানে ফেরিটি ডুবে গেছে তা কমপক্ষে ৫০ ফুট গভীর বলে জানা গেছে। সেখানে তীব্র স্রোতও রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানে দুই হাজার ১শ’ সেনা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
আরএইচ/
** নিখোঁজ আরোহীদের স্বজনদের বিক্ষোভ
** ৬৫ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ প্রায় চারশ’