ঢাকা: চারদিন পর্যন্ত আশায় বুক বেধেছিলেন নিখোঁজদের স্বজনরা। এখন আর কারো বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ, বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যের পরও অনেকের মনে হয়তো তখনও আশা জেগে ছিল।
গত সোমবার (০১ জুন) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ‘ডংফ্যাংঝিশিং (ইস্টার্ন স্টার)’ নামের পর্যটকবাহী ফেরিটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফেরিটির ৩৩১ হতভাগ্যের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
ডুবে যাওয়ার সময় ফেরিটির ১৪ সৌভাগ্যবান সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে এখন পর্যন্ত শতাধিক আরোহী নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটির ৬০ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।
সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার ফেরিটির ডানদিক পানির ওপরে ওঠানোর পর জরুরি উদ্ধারকর্মীরা এতে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মরদেহগুলো দেখতে পান।
এদিকে, নিখোঁজ স্বজনদের বিক্ষোভের মুখে ঘটনার তদন্তের অনুসন্ধানের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এর আগে গত বুধবার (০৩ জুন) উল্টে থাকা ফেরিটির ভেতরে অনেকে এখনও জীবিত রয়েছেন, এমন আশায় তাদের উদ্ধারে ফেরিটির তলদেশে একটি ফুটা (৫৫ সে.মি. বাই ৬০ সে.মি.) করা হয়।
৭৬ মিটার লম্বা ফেরিটির ওজন দুই হাজার দু’শ টন। ফেরির মালিক চংকিং ইস্টার্ন শিপিং কর্পোরেশন। সাংহাইয়ের একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ফেরিটি ভাড়া করে পর্যটকরা। গত এপ্রিলে এটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংকিংয়ের উদ্দেশ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নানজিং ত্যাগ করে। যাত্রাপথে ফেরিটির দেড় হাজার কিলোমিটার (৯৩০ মাইল) পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল।
চীনের ইয়াংসি নদীর নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশের জিয়ানলি এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় জাহাজটি। তবে এ সময় এটি কোনো বিপদসংকেত দেখায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৫
জেডএস