ঢাকা: আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনকে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। ‘পাকিস্তান-বিরোধী’ কার্যকমের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটিকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে পাকিস্তান পুলিশ শিশু বিষয়ক সংস্থাটির ইসলামাবাদ কার্যালয় সিল করে দিয়েছে বলে শুক্রবার (১২ জুন) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই সঙ্গে সংস্থার বিদেশি কর্মীদের ১৫ দিনের মধ্যে পাকিস্তান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকারের এ আদেশের ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানানো হয়েছে।
৩০ বছর ধরে শিশু বিষয়ক সংস্থাটি পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে সেখানে সংস্থার হয়ে কাজ করছে অন্তত দুই হাজার কর্মী। এর মধ্যে ছয়জন বিদেশি কর্মী বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, ২০১২ সালে সেভ দ্য চিলড্রেন এক টিকা দান কর্মসূচী শুরু করেছিল, যার মাধ্যমে মূলত আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। শাকিল আফ্রিদি নামে এক চিকিৎসককে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ওই টিকা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করেছিল। আফ্রিদি সেসময় ওসামা বিন লাদেন যে শহরে অবস্থান করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল, সে শহরে তার অবস্থান সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হতে সেখানকার মানুষের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন।
পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেনের একজন সাবেক পরিচালক চিকিৎসক আফ্রিদিকে আমেরিকার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন।
তবে সেভ দ্য চিলড্রেন বরাবরই সিআইএ কিংবা ডাক্তার শাকিলের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনকে পাকিস্তান ছাড়ার আদেশের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসেনি।
তবে দেশটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই সেভ দ্য চিলড্রেনের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। তারা পাকিস্তানের স্বার্থ বিরোধী কিছু একটার সঙ্গে জড়িত।
সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আরও কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা আসার পরপরই সেভ দ্য চিলড্রেনকে এ আদেশ দেওয়া হল। কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণায় কিছু এনজিও‘র লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
আরএইচ