ঢাকা: কিউবায় মার্কিন বিতর্কিত কারাগার গুয়ান্তানামো বে থেকে ছয় ইয়েমেনি কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য এদের মধ্যে পাঁচজনকে ওমান ও একজনকে এস্তোনিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার (১২ জুন) এ স্থানান্তর কার্যক্রম শেষ করা হয় বলে পেন্টাগনের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে শনিবার (১৩ জুন) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের বলে ছয় ইয়েমেনি কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- ইদরিস আহমেদ আবদ আল কাদির ইদরিস, শারাফ আহমেদ মুহাম্মাদ মাস’উদ, জালাল সালাম আওয়াদ আওয়াদ, সা’আদ নাসের মকবিল আল আজানি, এমাদ আব্দাল্লাহ হাসান ও মুহাম্মাদ আলি সালেম আল জারনুকি।
২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুয়ান্তানামো বে কারাগারে আটকদের বিষয়ে ‘পর্যালোচনার ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনা’র একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। দেশটির ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন অধিদফতর ও এজেন্সি নিরাপত্তাজনিত কারণগুলো সহ অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাহী আদেশ জারির ঠিক দুই দিন আগে, ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ওবামা।
বিবৃতিতে পেন্টাগন আরও জানায়, কয়েদিদের স্থানান্তরের আগে ওমান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের স্থানান্তর শুরু করা হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার পরপরই কিউবায় গুয়ান্তানো বে কারাগারটি খোলা হয়। এরপর থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্তদের এখানে বন্দি করে রাখতে শুরু করে মার্কিন প্রশাসন।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, গুয়ান্তানামো বে কারাগার আসলে একটা ‘কৃষ্ণগহ্বর’ ছাড়া কিছুই না। আদালতে সোপর্দ না করে এখানে বন্দিদের বছরের পর বছর আটক রাখা হয়।
প্রেসিডেন্ট ওবামার সাত বছরের শাসনামলে সর্বশেষ এই ছয়জনের মুক্তির মধ্য দিয়ে গুয়ান্তানামো বে কারাগারে আর একশ’ ১৬ জন বন্দি বাকি থেকে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
আরএইচ