ঢাকা: প্রতিদিনই আগের চেয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে মানবসভ্যতা। আর এই উন্নতিকে তরাণ্বিত করতে আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে বিজ্ঞান।
ইতালির নিউরোসার্জন সার্জিও ক্যানাভেরোর এক ঘোষণায় এমনটাই আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১২ জুন) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব নিউরোলজিক্যাল এন্ড অর্থোপেডিক সার্জনস’র বার্ষিক বৈঠকে এ ঘোষণা দেন।
এসময় সার্জিও ক্যানাভেরা জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ তিনি মানব মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে অস্ত্রপচারের পরিকল্পনা করেছেন। এ অস্ত্রপচারে সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।
মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে বিশ্বের প্রথম রোগী হিসেবে ছুরি-চাকুর নিচে যাবেন ৩০ বছর বয়সী রাশিয়ান নাগরিক ভ্যালারি স্পিরিদনোফ। তিনি পেশী-ক্ষয়জনিত রোগে ভুগছেন বলে জানান সার্জিও ক্যানাভেরা।
ঘোষণার সময় ক্যানাভেরা বলেন, আমি অস্বীকার করছি না, এতে কাজে ঝুঁকি আছে। সফলতার বিষয়ে অনেকাংশেই নিশ্চিত হয়েই আমি ঘোষণাটা দিয়েছি।
ক্যানাভেরার রোগী স্পিরিদনোফ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যদি এই অস্ত্রপচারে সফলতা আসে, তাহলে সীমাবদ্ধতাগুলো থেকে আমার মুক্তি মিলবে। আমি আরও স্বাধীন হতে পারবো এবং আমার জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
স্পিরিদনোফ আরও বলেন, আমরা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক বড় একটা পদক্ষেপ নিতে চলেছি। আমার বিশ্বাস, সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হবে।
ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জনস’র সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্ডিওথোরাসিক সার্জন রেমন্ড দিয়েতার সার্জিও ক্যানাভেরার ঘোষণা আসার পরপরই বলেছেন, এই অস্ত্রপচারে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, প্রতিস্থাপনের সময় মস্তিষ্ককে জীবিত রাখা।
তিনি বলেন, সার্জিও ক্যানাভেরার বিষয়টি সমালোচিত হচ্ছে বলে আমি জানতে পেরেছি। ভুলে গেলে চলবে না, প্রথম যখন হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হল, তখনও সমালোচনা হয়েছিল।
সার্জিও ক্যানাভেরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনে অস্ত্রপচারটি যুক্তরাষ্ট্র অথবা চীনে সম্পন্ন করা হবে। শতাধিক চিকিৎসাকর্মী এতে অংশ নেবেন। প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হতে ৩৬ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বৈজ্ঞানিকভাবেই শুধু নয়, মানসিকভাবেও নিজেকে প্রস্তুত করেছি। এধরণের একটি অভিযানে মানসিক জোরও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
আরএইচ