ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মানবপাচারে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
মানবপাচারে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা! ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: প্রকাশ্যে তারা আমদানি ও রফতানি খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী। কিন্তু মুখোশের আড়ালে তারা আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের মালয়েশিয়ান সাম্রাজ্যের হর্তাকর্তা।

এতোদিন সেই মুখোশ লেগেছিল, এবার তা খসে গেছে আইন-শৃঙ্খল‍া বাহিনীর সামনে।

মালয়েশিয়ার প্রশাসন তদন্ত চালিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সঙ্গে দেশটির তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীর সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। ওই তিনজনের বিষয়ে তদন্ত করে এখন গর্তে থাকা অপরাপর অপরাধীদের খুঁজে বের করার তৎপরতা চলছে।

বুকিত আমানের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অন অর্গানাইজড ক্রাইম (স্ট্যাফোক), স্পেশাল ট্যাকটিকাল ইন্টিলিজেন্স নার-কোটিক্স গ্রুপ (স্টিং) ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ একটি টিম মানবপাচারে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে এ নজিরবিহীন তৎপরতা চালাচ্ছে। বুকিত আমানের এ কার্যক্রমে ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করছে কেদাহ পুলিশ।

সম্প্রতি মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্ত ও সাগরে সৃষ্ট শরণার্থী বিপর্যয়ের পেছনে জড়িত ৭০ দালালকে আটক করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয়।

পেনাং, পেরলিস ও কেদাহের এ তিন ব্যবসায়ীর ব্যাংক লেনদেনের ওপরও এখন তীক্ষ্ম নজরদারি চলছে।

এ বিষয়ে কেদাহ পুলিশের চিফ সিনিয়র ডেপুটি কমান্ডার জামরি ইয়াহইয়া জানান, বিশেষ টিমটি ইন্টারপোলের সহযোগিতায় মানবপাচারে জড়িত মালয়েশিয়ান দালালদের চিহ্নিত করার কাজ করছে। এই কার্যক্রম সফল হতে চলেছে।

মানবপাচারে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার বলে দাবি করেন জামরি ইয়াহইয়া।

এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মায়ানমারের অধিকার বঞ্চিত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের পাচারে জড়িত ৭০ দালালের ‍আটকাভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের এই তিন ব্যবসায়ী সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাচারে জড়িত বেশ ক’জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক ও এই তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করলেও এখনই কারও পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান জামরি।

তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এই তিন ব্যবসায়ী ব্যাংক নেগারায় লেনদেন করেন। এখন এদের সঙ্গে কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের অ্যাকাউন্টগুলোর উপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এ কারণে ব্যাংক নেগারাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান বিশেষ টিমটির এ মুখপাত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।