ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৮ বছর ধরে ট্রাফিক সিগন্যালে জ্বলছে যে লালবাতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৫
২৮ বছর ধরে ট্রাফিক সিগন্যালে জ্বলছে যে লালবাতি

ঢাকা: ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলে ওঠার অর্থ চলমান গাড়িগুলোকে থেমে যেতে হবে। কিছু সময় পর এই আলোর পরিবর্তে সবুজ বাতি জ্বলে উঠলে আবার চলতে শুরু করে গাড়ির মিছিল।

কিন্তু জার্মানির ড্রেসডেন শহরের এক ট্রাফিক সিগন্যালে ২৮ বছর ধরে জ্বলছে লালবাতি। তবে কি এই সড়কে কোনো গাড়ি চলে না? নাকি বিকল সিগন্যাল ব্যবস্থা ঠিক করার কোনো চেষ্টা করেনি কর্তৃপক্ষ?

বার্লিন দেয়াল ভাঙ্গারও দু’বছর আগে থেকে জ্বলছে ওই লালবাতি। দু’যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই লালবাতি নিভে কখনও সবুজ বা হলুদ বাতি জ্বলে ওঠেনি ভুল করেও। না, কোনো ত্রুটি বা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমনটা হচ্ছে না। বছরে রীতিমত সাড়ে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা) খরচ করে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এই ট্রাফিক সিগন্যালকে।

১৯৮৭ সালে ড্রেসডেন শহরে গুরুত্বপূর্ণ এক চৌরাস্তায় বসানো হয় এই ট্রাফিক সিগন্যাল। চৌরাস্তার দক্ষিণ দিক বাদে বাকি তিন দিকের ট্রাফিক সিগন্যালের আলোর পরিবর্তন হয় নিয়মিত। শুধুমাত্র দক্ষিণ দিকের লালবাতিরই কোনো পরিবর্তন নেই। এর কারণ চৌরাস্তার এই দিকে এলবে নদী। কোনও গাড়ি সোজা যেতে চাইলেই তাকে পড়তে হবে লাল সংকেতের মুখে।

গত ২৮ বছরে এই অদ্ভুত ট্রাফিক সিগন্যাল রক্ষণাবেক্ষণে সরকারকে গুণতে হয়েছে প্রায় দেড় লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৩১ লাখ টাকার কিছু বেশি)।

শহরের প্রশাসনিক কর্তারা এ ব্যাপারে বলেন, সুস্পষ্টভাবে আইন পালনের জন্যই এভাবে লালবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। এলবে নদী এড়াতে ওই রাস্তাটা বন্ধ রেখে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে অন্য রাস্তায় পাঠানো হচ্ছে।

তাহলে 'STOP' সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লালবাতি বন্ধ করা হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কর্তারা বলেন, এক্ষেত্রে আইনের কিছু জটিলতা রয়েছে। শহরের ট্রাফিক আইনে পরিষ্কার লেখা আছে ‘স্টপ’ নয়, লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।