ঢাকা: নিজের চেহারা ও আকৃতির কোনো বুদ্ধিমান যন্ত্রকে খেয়াল খুশিমতো নির্দেশ করে কাজ করানোর স্বপ্ন মানুষের বহুদিনের। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এই স্বপ্নকে সত্যি করতেই রোবটের আবিষ্কার।
১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম রোবোনট-২ প্রকল্প হাতে নেন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। তখন তাদের লক্ষ্য ছিল, ২০০৫ সালের মধ্যে মানুষ আকৃতির এই রোবটকে কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা। সফলতা আসতে খানিকটা দেরি হয়ে যায়। ২০১১ সালে তৈরি হয় মনের মতো রোবটটি।
তবে তৈরির সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশে পাঠানো গেল না রোবোনট-২ কে। চাইলেই তো আর কোনো রোবটকে মহাকাশে পাঠিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া যায় না। সে ঠিকঠাক কাজ করতে পারে কি না, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে কি না, প্রভুর আদেশ মেনে চলে কি না, তা তো যাচাই করতে হবে।
রোবোনট-২ এর যোগ্যতা যাচাইয়ে নাসা কর্তৃপক্ষ আয়োজন করলেন কিছু কঠিন পরীক্ষার। একে একে তাকে পাস করতে হয় উড্ডয়ন এলাকায় মানিয়ে চলতে পারার, শিল্পবান্ধবতা, মানবিকতা, প্রযুক্তি বোঝার ক্ষমতা, নাসার কার্যক্রম বোঝার ক্ষমতা, শিল্প ব্যবহারে যোগ্যতা ও সৃষ্টিশীলতার পরীক্ষায়। ২০১৪ সালে শেষ হয় এই প্রাথমিক পরীক্ষা পর্ব।
এখন চলছে পৃথিবী থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোবোনট-২ মহাকাশে ডাক্তারের ভূমিকা পালন করতে পারে কি না, সে পরীক্ষা। সেই সঙ্গে রোবট সিরিজের সি-৩পিও ও দ্য মিশেলিন ম্যানের সংকরের মতো দেখতে রোবোনট-২ প্রায় শূন্য মধ্যাকর্ষণে কেমন আচরন করে সে, তাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই পরীক্ষাগুলোয় সফলতা দেখাতে পারলে তবেই মিলবে মহাকাশে পাড়ি জমানোর ছাড়পত্র।
এরই মধ্যে নাসার এই রোবটটি সেলফি তোলায় নিজের পারদর্শীতা দেখিয়ে মুগ্ধ করেছে বিজ্ঞানীদের। নাসার ওয়েবসাইটে রোবোনট-২ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই রোবটটি মানুষের মতো বিপজ্জনক কাজে অংশ নিতে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৫
আরএইচ