ঢাকা: নতুন ‘বেলআউট’ চুক্তি সম্পাদন করা হবে কি না, তার উত্তর খুঁজতে জনগণের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস ও তার মন্ত্রিসভা। আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এ গণভোট।
‘হা’ ও ‘না’- উভয় ভোটের পক্ষেই রাজধানী অ্যাথেন্সে ব্যাপক ৠালির খবর পাওয়া গেছে। একদিকে সিপরাস ও তার সিরিজা দলের জোর প্রচারণা চলছে ‘না’ ভোটে আদায়ে, অপরদিকে বিরোধী জোট নিয়েছে ‘হা’ ভোটের পক্ষ। আর দেশটিতে কমিউনিস্ট পার্টি কেকেই কোনো ভোটের পক্ষেই নেই।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসের যুক্তি, ‘না’ ভোট জয়যুক্ত হলে তিনি আরও সহজ শর্তে নতুন বেলআউট চুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ও ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবেন। এতে করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন ও পরিচালনা আরও সহজ হবে।
অপরদিকে বিরোধী জোটের মত, যদি ‘না’ ভোট জয়যুক্ত হয়, তাহলে গ্রিস ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাবে। এতে করে দেশের ধসে পড়া অর্থনীতিকে আর কখনোই পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে না।
আর কমিউনিস্ট পার্টি কেকেই’র মত, ‘হা’ ও ‘না’- উভয় অবস্থানই গ্রিসকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেবে। ‘ইউরোজোন’ গ্রিসের জন্য এক উভয় সংকটের নাম। এর থেকে বেরিয়ে যাওয়া কিংবা এর মধ্যে থাকা, কোনোটাই মঙ্গলজনক নয়।
এদিকে, নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপের ফলগুলো প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসের কপালে চিন্তার রেখা এঁকে দিচ্ছে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গ্রিসে নতুন বেলআউট চুক্তি সম্পাদন করা হবে কি না, সে ব্যাপারে ‘হা’ ভোটের পক্ষ নিয়েছেন ৪১.৫ শতাংশ ভোটার। আর সিপরাসের ওপর আস্থা রেখে ‘না’ ভোটের পক্ষ নিয়েছেন ৪০.২ শতাংশ ভোটার।
১০.৯ শতাংশ ভোটার কোন পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত নিতে না পারা এই ভোটাররাই গণভোটের ফল নির্ধারণ করবেন।
এদিকে নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপগুলো বলছে, ৭.৪ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৫
আরএইচ