ঢাকা: গ্রিসে চলছে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কঠোর শর্তসংবলিত পুনরুদ্ধার প্রস্তাবের ওপর গণভোট।
রোববার (৫ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় একযোগে ভোট কেন্দ্রগুলো চালু হয়।
সরকারের তরফ থেকে ঋণদাতাদের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যান করতে ‘না’ ভোট দিতে বলা হচ্ছে জনগণকে। আর বিরোধীদের তরফ থেকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে প্রস্তাব মেনে নিতে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসের যুক্তি, ‘না’ ভোট জয়যুক্ত হলে তিনি আরও সহজ শর্তে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ), ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) ও ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবেন। এতে করে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন ও পরিচালনা আরও সহজ হবে।
অপরদিকে ‘হ্যাঁ’ পক্ষের প্রচারক বিরোধী জোটের মত, ‘না’ জিতলে গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়া হবে। এতে দেশের ধসে পড়া অর্থনীতিকে আর কখনোই পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে না।
সংবাদমাধ্যম বলছে, নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপের ফলগুলো প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাসের কপালে চিন্তার রেখা এঁকে দিচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গ্রিসে নতুন ঋণপ্রস্তাব চুক্তি সম্পাদন করা হবে কি না, সে ব্যাপারে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষ নিয়েছেন ৪১.৫ শতাংশ ভোটার। আর সিপরাসের ওপর আস্থা রেখে ‘না’ ভোটের পক্ষ নিয়েছেন ৪০.২ শতাংশ ভোটার।
গ্রিসের জনগণ শর্ত মেনে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ঋণদাতারা জরুরি তারল্য সহায়তার (ইমার্জেন্সি লিকুইডিটি অ্যাসিস্ট্যান্স বা ইএলএ) সীমা সামান্য একটু বাড়াতে পারে। এতে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে না পেলেও আমানতকারীদের দৈনিক অর্থ উত্তোলনের সীমা এখনকার ৬০ ইউরো থেকে কিছুটা বাড়তে পারে। বিদেশে অর্থ পাঠানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা বজায় রয়েছে তা-ও খানিকটা শিথিল হতে পারে। এর ফলে গ্রিসের অর্থনীতি সম্প্রতি যে সংকটে পড়েছে তা থেকে কিছুটা কেটে উঠতে পারে।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ইউরোপের দেশটিতে ব্যাংক বন্ধ, ওষুধের ঘাটতি এবং পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ গণভোট হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটে ঋণদাতাদের কঠোর শর্ত মেনে নিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী সিপরাস গত সপ্তাহে এ গণভোটের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৫
এইচএ