ঢাকা: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর প্রযুক্তির ওপর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। তাই বুঝি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়ার চেষ্টায় মুরগি, মাছ ও ব্যাঙ ব্যবহারের চেষ্টা করছে চীন সরকার!
সম্প্রতি চীনের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের নির্দেশে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়ার বিষয়ে গবেষণা চালানো হচ্ছে। গবেষণার অংশ হিসেবে মুরগি-মাছ-ব্যাঙের আচরণের ওপর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এদের আচরণেই বোঝা যাবে, পরবর্তী মুহূর্তে কী ঘটতে যাচ্ছে। কারণ, প্রকৃতির সন্তানরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম আভাস পায়- এটি স্বীকৃত ধারণা।
সংবাদমাধ্যম জানায়, এ গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর নানঝিংয়ের ভূ-তাত্ত্বিক অধিদফতর সেখানকার সাতটি পশুখামারকে ভূ-তত্ত্ব কেন্দ্র বানিয়ে নিয়েছে।
ওই সাতটি পশুখামারের কর্মীরা জানান, ভূ-তাত্ত্বিক অধিদফতর পশুপাখিদের আচরণের ওপর অন্তত দু’বার পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তাদের সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। একইসঙ্গে সেখানে পরবর্তী সময়ে ক্যামেরা বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
গবেষণা প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলেন, পশুপাখিদের অস্বাভাবিক আচরণ ভূমিকম্পের সম্ভাব্য সতর্কতা হতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস হিসেবে পশুপাখিদের অস্বাভাবিক আচরণের মধ্যে উল্লেখ করা যেতে পারে- মুরগির গাছের ডালে উঠে যাওয়া, মাছের পানির বাইরে লাফিয়ে ওঠা এবং ব্যাঙের সংঘবদ্ধ হয়ে চলা। তাদের এ ধরনের আচরণের পর ভূ-তাত্ত্বিক অধিদফতর পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নিশ্চিত হতে পারবে।
এ গবেষণা প্রকল্পে আগামী বছর আরও সাতটি পশুখামার যুক্ত করা হবে বলেও জানান ভূ-তাত্ত্বিক অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৫
এইচএ/