ঢাকা: তুরস্কের ইস্তাম্বুলে থাইল্যান্ডের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। থাইল্যান্ড থেকে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ১০০ জনকে চীনে বিতাড়িত করার অভিযোগ তুলে এ হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার (৮ জুলাই) রাতে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত দূতাবাসে এ হামলা চালানো হয় বলে বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। হামলার ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার তুরস্কে রাজকীয় থাই দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের একটি দল বুধবার মধ্যরাতে ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেটে ভবনে হামলা চালিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে আসবাবপত্রও নষ্ট করে ফেলেছে।
ফেসবুক পেজের ওই বার্তায় তুরস্কে অবস্থানরত সকল থাই নাগরিককে কোথাও জাতীয় পতাকা বা প্রতীক প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। নিষেধ করা হয়েছে উইঘুরদের বিষয়ে তুর্কিদের সঙ্গে কোনো বিতর্কে জড়াতে। পাশাপাশি বিক্ষোভ এলাকা এড়িয়ে যেতেও বলা হয়েছে থাই নাগরিকদের।
থাই কনস্যুলেটে এ হামলার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা চীনা পতাকাও পুড়িয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
চীন থেকে পালিয়ে আসা উইঘুর লোকদের এভাবে পুনরায় বিতাড়িত করায় থাই প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলছে, অধিকার বঞ্চিত উইঘুর সম্প্রদায়ের ওই ১০০ জনকে নতুন করে হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে।
তুর্কি বংশোদ্ভূত উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বরাবরই কড়া কথা বলে আসছে আঙ্কারা। কিন্তু আঙ্কারাসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে উল্টো উইঘুরদের নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে চীন সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও তারা দাবি করে থাকে, বেইজিং প্রত্যেক ধর্ম-বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫
এইচএ