ঢাকা: সন্তানদের জন্য জগতের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করা হয় মা-বাবাকে। কিন্তু কানাডার মোহাম্মদ শফিয়ার বাবা হয়ে তিন মেয়ের সঙ্গে যে নৃশংসতা দেখিয়েছেন তা হয়তো পিতৃত্বের সাধারণ সংজ্ঞাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
অপছন্দের পাত্রের সঙ্গে প্রেম করায় তিন মেয়েকেই ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে খুন করেছেন তিনি। খুনের পর তার মধ্যে অনুশোচনা দূরে থাক, উল্টো তিনি হুংকার ছাড়ছেন, প্রয়োজন হলে আরও একশ’বার এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালাতে পারবেন তিনি।
২০০৯ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি সম্প্রতি আদালতে দিয়েছেন শফিয়ার। সংশ্লিষ্ট আদালতের আইনজীবীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এ খবর দিয়েছে।
শফিয়ারের বয়স এখন ৫৮, বিয়ে করেছেন দু’টি। সাত সন্তানের বাবা ছিলেন, তিন মেয়েকে মেরে এখন চার সন্তানের ‘বাবা’ তিনি।
কী কারণে তিনি আদরের সন্তানদের খুন করেছেন? কারণ তিন মেয়ের প্রেমিককেই পছন্দ ছিল না তার। তাদের সঙ্গে মেয়েদের মেলামেশা ঠেকাতে পারেননি, তাই মেয়েদেরই ‘উপড়ে’ ফেলেছেন শফিয়ার।
প্রিয় সন্তানদের খুন করে এতটুকু অনুতাপ নেই শফিয়ারের। উপরন্তু আদালতে বিচারকের সামনে জোর গলায় তিনি বলতে থাকলেন, ‘আমি এটা আবারও করতে পারি। একশো বার পারি। ’ সবাই তার এ ঘোষণায় তাজ্জব হলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই শফিয়ারের।
খুন হওয়া তিন মেয়ের একজন জৈনাব, তার বয়স ১৯ বছর। একজন সহর, বয়স ১৭ বছর, আর ছোটজনের নাম গীতি, তার বয়স ১৩ বছর। শফিয়ারের কথায়, তার এই তিন মেয়েই বিশ্বাসঘাতক। এমনকি মেয়েদের যৌনকর্মীর সঙ্গে তুলনা করতেও মুখে বাধেনি বিক্ষুব্ধ শফিয়ারের।
আদালতের আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে শফিয়ারের প্রথম স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে তার গাড়ি। ওই সময় কিংস্টনের একটি ক্যানেল থেকে তার ‘দুর্ঘটনাকবলিত’ গাড়িটি পুলিশ উদ্ধার করে। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবেই ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন শফিয়ার। মামলা গড়ালে বিচারপ্রক্রিয়ায় শেষে আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিলেন সেই ‘বাবা’ও।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৫
এইচএ/