ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দেশজুড়ে সমালোচনা

ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত রায় প্রত্যাহার মাদ্রাজ হাইকোর্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত রায় প্রত্যাহার মাদ্রাজ হাইকোর্টের ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তীব্র সমালোচনার তোপে পড়ে ধর্ষণ, ধর্ষক ও নির্যাতিতাকে নিয়ে দেওয়া বিতর্কিত রায় প্রত্যাহার করলো ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ধর্ষকের সঙ্গে নির্যাতিতার ‘সমঝোতা’র সুযোগ রেখে দেওয়া রায় প্রত্যাহার করে এখন অপরাধীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



গত ১৮ জুন ওই ‘সমঝোতা’র রায় দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট এবং দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১০ জুলাই) নতুন করে এ আদেশ দেওয়া হলো।

‘সমঝোতা’র রায় প্রত্যাহার করে দেওয়া নতুন আদেশে ধর্ষকের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বাতিল করে আগামী ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০০৮ সালে এক শিশুকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মোহন নামে এক ব্যক্তি। সেসময় ওই শিশুর পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রাথমিক রায়ে মোহনকে কারাগারে পাঠানো হলেও পরে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করে সে ধর্ষক; তার আবেদনে ১৮ জুন বিতর্কিত ‘সমঝোতা’র রায়টি দেন বিচারপতি পি দেবদাস। রায়ে তিনি ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ধর্ষক ও নির্যাতিতার মধ্যে ‘মধ্যস্থতা’ করে সমঝোতার আদেশ দেন। এজন্য উভয়পক্ষকেই ১৩ জুলাই আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।

রায়ে বিচারপতি দেবদাস বলেন, নির্যাতিতার সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে জামিন পেতেই পারে ধর্ষক। এর আগেও এ ধরনের রায় দিয়েছি আমি। সেসব রায়ের পর নির্যাতিতাকে বিয়ে করতেও রাজি হয়েছিল ধর্ষক। এ ধরনের মামলার ‘সুখী সমাধান’ এমন রায়-ই।

হাইকোর্টের এ রায়ের পর থেকে ভারতজুড়ে নারী অধিকারকর্মীদের সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচনা হতে থাকে সুপ্রিম কোর্টেও। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের মামলায় ‘মধ্যস্থতার’ কোনো সুযোগই থাকা উচিত নয়।

দেশজুড়ে নিন্দার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেরও সমালোচনার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত রায়টি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।