ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিশরে ‘সন্ত্রাস-দমনে’ বিতর্কিত আইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
মিশরে ‘সন্ত্রাস-দমনে’ বিতর্কিত আইন আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি

ঢাকা: ‘ভুল’ বা ‘বিভ্রান্তিকর’ সংবাদ পরিবেশন করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিককে শাস্তির বিধান রেখে নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইন করেছে মিশরের সরকার। রোববার (১৬ আগস্ট) দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি এ আইনের অনুমোদন দিয়েছে।

সেনাপ্রধান  থেকে শাসক বনে যাওয়া সিসির নতুন এ আইন অনুমোদনে বিতর্ক শুরু হয়েছে অস্থিতিশীল দেশটিজুড়ে।

সোমবার (১৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, নতুন এ আইন অনুযায়ী সন্ত্রাস-দমনে বিশেষ আদালত স্থাপন করা হবে। কারও বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী দল গঠন বা নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া. সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ‘বলপ্রয়োগের’ ক্ষেত্রে আইনি পরিণতি থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষা পাবেন, যেটাকে দায়মুক্তির সুযোগ বলা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সিসির অনুমোদিত এ আইনে গণমাধ্যম দমনের কৌশল বেছে নেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ‘ভুল’ বা ‘বিভ্রান্তিকর’ সংবাদ পরিবেশন করলে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম বা সাংবাদিককে বিচারের আওতায় আনতে পারবে সরকার। এক্ষেত্রে ‘সহিংসতার উস্কানিদাতা’ বা ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বার্তা প্রচারের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট তৈরি’ করার অভিযোগ তুলে ৫-৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে অভিযুক্তকে। এছাড়া, সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সরকারি বিবরণের সঙ্গে প্রকাশিত সংবাদে অসঙ্গতি থাকলে বিশাল অংকের অর্থদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এ দণ্ড হতে পারে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার ডলার থেকে ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হটিয়ে ক্ষমতা নেওয়া সাবেক সেনাপ্রধান সিসি এ আইনকে ভিন্নমত দমনে ব্যবহার করবেন বলে শঙ্কা জাগছে।

মিশরের সরকারসমর্থক সংবাদমাধ্যম বলে পরিচিত আহরাম অনলাইন জানায়, গত জুন মাসে গাড়ি বোমা হামলায় একজন সরকারি কৌঁসুলি নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট সিসি ‘সন্ত্রাস-দমনে‘ এ কড়া আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনুমোদিত আইনে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিচার প্রক্রিয়া বিশেষ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়নের শাস্তি হিসেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।