ঢাকা: একেবারে অজপাড়া গাঁ। আধুনিকতা বিবেচনায় দিল্লি যতখানি এগিয়ে তারচেয়ে সহস্র কিলোমিটার পিছিয়ে ছত্তিশগড়ের কোটাবাড়ি।
সেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হৃদয় জিতে নিয়েছেন কোটাবাড়ির শতবর্ষী এক নারী। বয়সে ছোট মোদি ওই বৃদ্ধার কর্মে মুগ্ধতা লুকোলেন না, প্রকাশ ঘটালেন দারুণ উৎসাহে।
নকশাল প্রভাবিত কোটাবাড়ির মতো এলাকায় নিজের ছাগল বেচে পড়শীদের জন্য দু’ দু’টি শৌচাগার বানানোয় বয়সে বড় ওই বৃদ্ধাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
ছত্তিশগড়ের রাজন্দগাওঁ জেলায় একটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে মোদি ওই বৃদ্ধার প্রতি তার এই শ্রদ্ধা দেখান। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।
ওই বৃদ্ধা দু’টি শৌচাগার নির্মাণের জন্য তার ৮-১০টি ছাগল বিক্রি করেন। এরপর শৌচাগার বানিয়ে গ্রামবাসীকে ব্যবহারের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে অন্যদেরও এই ধরনের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণের কথা বলেন। বিভিন্ন সূত্রে এই খবর জেনে ওই নারীকেও প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চেই তাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন মোদি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কাজ বন্ধে এবং স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণে এই নারীর এমন উদ্যোগ ভারতকে পরিবর্তনের বড় নজির।
মোদি বলেন, দুর্গম গাঁয়ের বাসিন্দা ১০৪ বছরের এই বয়স্ক নারী টিভিও দেখেন না, পত্রিকাও পড়েন না। কিন্তু কোনোভাবে তার কাছে ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের মূল বার্তা পৌঁছেছে। তাতে অনুপ্রেরণা নিয়ে তিনি তার বাঁচার সম্বল ছাগল বেচেছেন, বানিয়েছেন শৌচাগার। উৎসাহ দিয়েছেন অন্যদের। এটা কেবল ছত্তিশগড়ের শিক্ষা নয়, পুরো ভারতবাসীর শিক্ষা।
প্রধানমন্ত্রী ওই বৃদ্ধার মতো সবাইকে স্বচ্ছ ভারত গড়তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি যখন মঞ্চে বৃদ্ধার পা ছুঁয়ে প্রণাম করছিলেন তখন অনুষ্ঠানস্থলে তুমুল করতালি বাজছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এইচএ/