ঢাকা: ভারত মহাসাগরের ইন্দোনেশিয়া উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া, ভূমিকম্পের কারণে যে ক’জনের নিহত হওয়ার খবর দেওয়া হয়েছিল তাও অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়ারা সিবার্তু থেকে ৬৬২ কিলোমিটার দূরে এবং মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ১২২৭ কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ১৫ সেকেন্ডব্যাপী ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এটি অনুভূত হয়েছে সিঙ্গাপুরেও।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস’র বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। ইউএসজিএস অবশ্য তৎক্ষণাৎ ভূমিকম্পটির মাত্রা জানিয়েছিল ৮ দশমিক ২। এরপর এর মাত্রা ৮ দশমিক ১ এবং ৭ দশমিক ৯ এ কমিয়ে আনা হয়। সবশেষে এখন বলা হচ্ছে ৭ দশমিক ৮।
ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কারও হতাহতের খবর মেলেনি। এছাড়া, এতে অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি।
যদিও এর আগে সংস্থার উপ-প্রধান হিরোনিমাস গুরু জানিয়েছিলেন, ভূমিকম্পের কারণে বেশ ক’জন নিহত হয়েছেন। তবে সন্ধ্যার পরপরই ভূমিকম্পটি আঘাত হানায় উদ্ধারকাজ অন্ধকারের কারণে ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে পশ্চিম সুমাত্রার মেনতাবাই দ্বীপের বাসিন্দাদের। আর জানমালের নিরাপত্তায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে সুমাত্রায়।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় সুমাত্রায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। তবে তিনি ভালো এবং নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
ডব্লিউ অং নামে সেংকাংয়ের একজন বাসিন্দা বলেন, আমি অনুভব করছিলাম আমার বিছানা কেবল কাঁপছে। দেখছিলাম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও আমার বাসার জানালা দুলছে।
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ৯ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ইন্দোনিশয়াসহ ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। এরমধ্যে কেবল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই মারা যায় প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৪১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৬
জেডএস/এইচএ
** ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি সর্তকতা-জরুরি অবস্থা, বেশ ক’জন নিহত