ঢাকা: ‘এটা একটি ঐতিহাসিক সফর। এর মাধ্যমে কিউবা এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যিক চুক্তি হবে।
রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় কিউবার রাজধানী হাভানায় মার্কিন দূতাবাসে পৌঁছেই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সূচনা বক্তব্যেই এসব কথা বলেছেন বলে সোমবার (২১ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়।
দীর্ঘ ৯০ বছর পর এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিউবা সফরে গেলেন। স্বভাবত দু’দেশের সম্পর্কের খরা কাটিয়ে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলছে। হাভানায় ওবামার প্রথম বক্তব্যেই তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
তিন দিনের দাফতরিক এ সফরের জন্য প্রায় ১৫ মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ওবামা। যে ঘোষণার আওতায় কিউবা থেকে আমেরিকায় সরাসরি ফ্লাইট চালুসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়। তবে ওবামার এ সফরেই কিউবার ওপর থেকে বিদ্যমান মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো বিষয়ে আলোচনা হবে। চলতি সপ্তাহে ওবামা প্রশাসান বেশ কিছু প্রদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে অনেক ইস্যুতেই যুক্তরাষ্ট্রের নমনীয় হওয়ার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (২১ মার্চ) কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে এক দাফতরিক বৈঠকে মিলিত হবেন ওবামা। সেই সঙ্গে রাতের খাবারও খাবেন তারা এক সঙ্গে। এ নিয়ে হোয়াইট হাউজ বলছে, এই সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
এ সফর নিয়ে কিউবার জনগণকে উদ্দেশ্য করে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বারাক ওবামা বক্তব্য রাখবেন। বিরোধী মতাদর্শীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এ সময় দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রীতি বেসবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং কিউবার পুরাতন স্থাপত্যশিল্প ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে উভয় দেশের ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। তবে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে ওবামার সাক্ষাৎ হবে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এদিকে, কিউবা সরকার ও কাস্ত্রো পরিবারের সঙ্গে ওবামার এ সু-সম্পর্ককে ভালো চোখে দেখছেন না উভয় দেশের অনেকেই। এ তালিকায় কিউবার নাগরিকদের একাংশ যেমন রয়েছেন, একইভাবে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে রাউল-ওবামার বৈঠকে ওপর নির্ভর করছে সব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৬/আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা
টিআই
** ৯০ বছর পর কিউবায় পা পড়েছে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের