ঢাকা: হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যে দুধর্ষ তা প্রমাণ হয়েছিলো ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধেই। ৩৪ দিনের ওই লড়াইয়ে হিজবুল্লাহর হাতে মার খেয়ে লেজ গুটিয়ে লেবাননের বেকা ভ্যালি ছেড়ে পালিয়েছিলো হানাদার ইসরায়েলি সেনারা ।
এর ধারাবাহিকতায় সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রেও বাশার আল আসাদের পক্ষের সবচেয়ে কার্যকর গেরিলা গ্রুপ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে সশস্ত্র গ্রুপটি। সিরিয়ার অভিজ্ঞতায় তাদের যোদ্ধারা হয়েছে আরও শাণিত ও ভয়ঙ্কর। ভান্ডারে যোগ হয়েছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র।
এই হিজবুল্লাহকেই তাই অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক হুমকি মানছেন ইসরায়েলি সমরবিদরা। এর প্রতিফলন পাওয়া গেল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল ইয়াইর গোলানের গলায়।
বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের পর হিজবুল্লাহ তাদের সামরিক সামর্থ্য আরও বাড়িয়ে নিয়েছে। বেড়েছে তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের ভান্ডারও। তাই এই মুহূর্তে ইসরায়েলের জন্য ‘অভুতপূর্ব’ হুমকি হিজবুল্লাহই।
তবে একই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের লড়াইয়ে জড়ানোর ব্যাপারেও সাবধান করে দেন হিজবুল্লাহ। এবার লড়াই হলে ইসরায়েলি জবাব হবে ‘অভাবনীয়’। অতীতের কোনো লড়াইয়ের সঙ্গেই একে মেলানো যাবে না বলেও হুমকি দিয়ে রাখেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের লড়াইয়ে দীর্ঘ ৩৪ দিন ইসরায়েলি বাহিনীকে তাদের সীমান্তেই আটকে রাখে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। পরে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে লড়াই শেষ হয়। লড়াইয়ে হিজবুল্লাহর রকেটে বার বার কেঁপে ওঠে হাইফা সহ ইসরায়েলের আলো ঝলমলে নগরীগুলো।
সেই স্মৃতি থেকেই হয়তো হিজবুল্লাহর কথা স্মরণ করছেন ইসরায়েলি উপ সেনা প্রধান, এমনটা মনে করছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
আরআই