ঢাকা: না নারদাকাণ্ড, না সারদাকাণ্ড, না নজিরবিহীন বাম-কংগ্রেস জোট। কোনো কিছুই আটকাতে পারছে না পশ্চিমবঙ্গের ‘দিদিকে’।
১৯ মে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার তিন দিন আগে সোমবার (১৬ মে) প্রকাশিত একাধিক বুথফেরত জরিপে (এক্সিট পোল) এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ছয় দফায় বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় এ বুথফেরত জরিপ চালায় ভারতের আলোচিত গবেষণা সংস্থা ‘সিভোটার’, ‘ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস’, ‘এবিপি’, ‘নিউজ নেশন’ ও ‘চাণক্য’।
২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রয়োজন হয় ১৪৮ আসনের।
সিভোটার বলছে, দিদি’র তৃণমূল কংগ্রেস এবার ১৬৭টি আসন পেতে যাচ্ছে। আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে লড়াই করা কমিউনিস্ট পার্টি-মার্কসিস্ট (সিপিএম) ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস জোট পাচ্ছে ১২০ আসনের মতো।
এবিপি’র বুথফেরত জরিপ বলছে, নির্বাচনে মমতার দল পাচ্ছে ১৬৩ আসন। আর সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ঘরে যাচ্ছে ১২৬ আসন।
নিউজ নেশনের বুথফেরত জরিপে উঠে আসছে, ‘দিদি’র দলের ঘরে যাচ্ছে ১৫৩ আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট ভেঙে বললে সেখানে ৯১ আসন পাচ্ছে বামেরা, আর ৯০ আসন পাচ্ছে কংগ্রেস।
তবে ‘ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস’র বুথফেরত জরিপ পূর্বাভাস দিচ্ছে, মমতার দল একেবারে প্রায় আড়াইশ (২৪৩) আসন পাচ্ছে।
চাণক্য গবেষণা সংস্থার জরিপও ইন্ডিয়া টুডের মতোই তৃণমূলকে অনেক বেশি এগিয়ে রাখছে। তারা বলছে, ‘দিদি’র দল এবার ২১০ আসন পাচ্ছে। আর ৭০ আসন পাচ্ছে সিপিএম। অন্য জরিপ সংস্থাগুলো বিজেপির আসন পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু না বলতে পারলেও চাণক্যর মতে, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীনরা এ বিধানসভায় অন্তত ১৪টি আসন পেতে যাচ্ছে।
তবে, এই জরিপ দেখে এখনই উচ্ছ্বাস না দেখিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র দেরেক ও’ব্রেইন বলছেন, আমরা ১৯ মে’র আসল ফল পেতেই অপেক্ষা করছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আবারও তৃণমূলকেই বিপুল সমর্থন দেবে বলে আশা করছি।
এই বুথফেরত জরিপে মুষড়ে পড়ছেন না মমতাবিরোধী জোটের নেতারাও। সিপিএম নেতা রিতাব্রত ব্যানাজি ও কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলছেন, জরিপ পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে যা-ই বলুক, এখানে জোট সরকার গঠনই আসন্ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৬/আপডেট ০৮২৭ ঘণ্টা
এইচএ/
**কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসন হটিয়ে আসামেও আসছে বিজেপি!